Read in English
This Article is From May 27, 2020

‘‘মরতে হবে’’: গরম সহ্য করে লাইনে দাঁড়িয়েও ট্রেন পেলেন না পরিযায়ীরা

নীতীশ কুমার বিহারের সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকের কাছে আর্জি জানিয়ে বলেছিলেন, যাঁরা বাড়ি ফিরতে চান তাঁরা যেন আতঙ্কিত না হন এবং তাঁদের সরকারের উপরে ভরসা রাখেন।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Reported by , Edited by
নয়াদিল্লি:

উত্তাপে ফুটছে দিল্লি (Delhi)। শহরের কোথাও কোথাও তাপমাত্রা প্রায় পঞ্চাশ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলেছে। এই পরিস্থিতিতেও দিল্লির সমস্ত করোনা ভাইরাস (Coronavirus) স্ক্রিনিং কেন্দ্রের বাইরে শয়ে শয়ে পরিযায়ী (Migrant) শ্রমিকদের লাইন দিয়ে দাঁড়াতে দেখা গেল। কর্মহীন শ্রমিক, অন্তঃসত্ত্বা মহিলা ও শিশুদের দীর্ঘ লাইনের একটাই আকাঙ্ক্ষা। একবার করোনা নেগেটিভ ঘোষিত হয়ে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের আসন দখল। কিন্তু এই আকুল প্রতীক্ষার মাঝেই ক্রমে খবর ছড়িয়ে পড়ল, ট্রেন চলবে না। কেবল আজ নয়, আগামী তিন দিনের মধ্যে দিল্লি থেকে বিহারগামী কোনও শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন ছাড়বে না। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে পশ্চিম দিল্লির বিনোদ নগরের এক স্ক্রিনিং কেন্দ্রের কথা। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টা ধরে প্রতীক্ষা করেছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। তারপর তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, দাঁড়িয়ে লাভ নেই। আগামী তিন দিন ট্রেন আসবে না। লাইনে দাঁড়ানো আট মাসের সন্তানসম্ভবা করিশমা দেবী NDTv-কে জানাচ্ছেন, ‘‘এভাবেই আমরা মরে যাব। খিদের চোটে। গতকাল সকাল ১১টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছি। আমাদের জলও দেওয়া হয়নি। উল্টে পুলিশ থেকে থেকে হুমকি দিচ্ছে।'' ২৯ বছরের করিশমার লক্ষ্য বিহারের সহর্ষতে ফিরে যাওয়া। তাঁর স্বামী এক এসি টেকনিশিয়ান। ভাড়া না মেটাতে পারায় দু'জনকেই বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে বাড়িওয়ালা।

২৫ বছরের শাকিবও ফিরতে চান‌ বিহারের সহর্ষতে। তিনি NDTv-কে জানালেন, ‘‘গতকাল বিকেল চারটে থেকে এখানে রয়েছি। কেবল জল আর বিস্কুট জোগাড় করতে পেরেছি। সারা রাত ছিলাম। আমরা খবর পেয়েছিলাম একটা ট্রেন আসছে। তাই এসেছিলাম। কিন্তু বলে দিল আগামী তিন দিন কোনও ট্রেন নেই!''

গত সপ্তাহেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বিহারের সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকের কাছে আর্জি জানিয়ে বলেছিলেন, যাঁরা বাড়ি ফিরতে চান তাঁরা যেন আতঙ্কিত না হন এবং তাঁদের সরকারের উপরে ভরসা রাখেন।

এদিকে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন নিয়ে কেন্দ্রে সঙ্গে রাজ্যগুলির মতবিরোধ বারবার সামনে এসেছে। কেন্দ্রের অভিযোগ, বহু রাজ্যই এই বিশেষ ট্রেনকে ঢুকতে দিচ্ছে না। ফলে আতান্তরে পড়তে হয়েছে পরিযায়ীদের।

Advertisement
Advertisement