তেলেঙ্গানায় একটি জনসভায় বক্তব্য রাখছেন রাহুল গান্ধী
হাইলাইটস
- নীরব মোদিকে পেলে ওঁর সব টাকা আপনাদের দিয়ে দেব; রাহুল গান্ধী
- তেলেঙ্গানার শামশাবাদের একটি জনসভায় এমনটা বলেন রাহুল
- তাঁর অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদি সব টাকা নীরব মোদিকে দিয়ে দিয়েছেন
শামশাবাদ, তেলেঙ্গানা: কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী শনিবার জানিয়েছেন, কংগ্রেস সরকার যদি নীরব মোদিকে (Nirav Modi) ধরতে পারে তাহলে এই ব্যবসায়ীর সমস্ত টাকা জনগণকে বিলিয়ে দেবে। শামশাবাদে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাহুল বলেন, “নরেন্দ্র মোদি নীরব মোদির অ্যাকাউন্টে ঠাকা পাঠিয়েছেন, কিন্তু আমরা ওই সব টাকাই দরিদ্রদের কাছে ফিরিয়ে দেব। যদি আমরা নীরব মোদিকে ধরতে পারি, তাহলে আমরা সব টাকা আপনাদের দিয়ে দেব।"
শনিবারই জানা গিয়েছে পিএনবি দুর্নীতির প্রধান অভিযুক্ত নীরব মোদি লন্ডনের অভিজাত ওয়েস্ট এন্ড এলাকায় ৮ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের একটি অ্যাপার্টমেন্টে থাকা শুরু করেছেন। ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য টেলিগ্রাফ (British newspaper The Telegraph) কর্তৃক প্রকাশিত একটি ভিডিওতে প্রকাশ পেয়েছে যে নীরব মোদি সোহোতে একটি নতুন হীরের ব্যবসা শুরু করেছেন।
পাঁচ বছরে দু'বার নয় তিনবার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছে: রাজনাথ
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তাঁর দল ক্ষমতায় আসার পর কংগ্রেস সভাপতি সব নাগরিককে ন্যূনতম নিশ্চিত আয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, “কংগ্রেস সর্বদাই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং আমরা ২০১৯ সালেও ঐতিহাসিক কাজ করতে চলেছি। আমরা সবার ন্যূনতম আয় (guaranteed minimum income to all) নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
এই প্রস্তাবের বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে রাহুল জানান, ন্যূনতম আয়ের মাত্রা কংগ্রেস সরকার ঠিক করবে এবং যারা সর্বনিম্ন আয়রেখারও নীচে রইবেন তাঁরা উপকৃত হবেনই। রাহুল বলেন, “কংগ্রেসের সরকার যে ন্যূনতম আয়ের রেখা ঠিক করবে, যারা তারও নীচে রইবেন তাঁরা ন্যূনতম আয়ের অর্থ পাবেন। কংগ্রেস সরকার সরাসরি আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাবে।” প্রধানমন্ত্রীর আচরণের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেই রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেন যে, প্রধানমন্ত্রী মোদি ‘দুইটি ভারত' তৈরি করছেন - একটি গরীবদের জন্য এবং অন্যটি কেবলই ধনী ব্যক্তিদের জন্য।
“গত ৫ বছর ধরে তিনি দুটি ভারত গড়েছেন- একটিতে অনিল আম্বানির মতো ধনী ব্যক্তিরা থাকেন যারা ব্যক্তিগত বিমানগুলিতে ভ্রমণ করেন এবং যা পছন্দ, যা ইচ্ছা তাই করেন, তাই পান। দ্বিতীয় ভারতে থাকেন কৃষকরা, যাদের ঋণ পাওয়ার জন্য ভিক্ষা করতে হয়। আর আমাদের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, কৃষিঋণের কোনও নীতিই নাকি নেই।”
কং-সিপিএম আসন সমঝোতা নিয়ে হস্তক্ষেপ রাহুল গান্ধী-সীতারাম ইয়েচুরির
তাঁর দাবি, তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওকে (K Chandrashekar Rao) প্রধানমন্ত্রী মোদি যেন রিমোট কন্ট্রোল দিয়েই নিয়ন্ত্রণে রাখেন। রাহুল বলেন, “কেসিআর ও তাঁর দল (Telangana Rashtra Samithi) লোকসভা ও রাজ্যসভায় প্রতিটি সিদ্ধান্তে বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সমর্থন করে। আপনাদের মুখ্যমন্ত্রী রাফাল চুক্তি নিয়ে কতবার কত কী মন্তব্য করেছেন? তিনি কি কখনো বলেন যে নরেন্দ্র মোদি সাধারণ মানুষের ৩০ হাজার কোটি টাকা চুরি করেছেন? তিনি কি কখনও কোনও তদন্ত চেয়েছেন? কেন চাইবেন! তিনি তো চান নরেন্দ্র মোদিই প্রধানমন্ত্রী হন।”
রাহুল গান্ধীর আরও অভিযোগ, “নরেন্দ্র মোদি কেসিআরের দুর্নীতির অভ্যাস সম্পর্কে সচেতন। তাঁর হাতেই তো কেসিআরের রিমোট কন্ট্রোল রয়েছে।”
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)