This Article is From Aug 06, 2018

"চোখটা উপড়ে নেব", ম্যাসাঞ্জোর বাঁধ ইস্যুতে বললেন ঝাড়খণ্ডের মন্ত্রী

ঝাড়খণ্ডের মন্ত্রী লুইস মারান্ডি রবিবার রীতিমতো হুমকির সুরে বললেন, ওই বাঁধের দিকে যারা চোখ তুলে চাইবে, তাদের চোখ উপড়ে নেওয়া হবে। 

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বাঁধে রং করা নিয়ে তিতিবিরক্ত ঝাড়খণ্ড সরকার।

রাঁচি/কলকাতা:

ম্যাসাঞ্জোর বাঁধের দেওয়ালে ছবি আঁকতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্মীদের বাধা দিয়েছিল ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার কর্মীরা। ঝাড়খণ্ডের মন্ত্রী লুইস মারান্ডি রবিবার রীতিমতো হুমকির সুরে বললেন, ওই বাঁধের দিকে যারা চোখ তুলে চাইবে, তাদের চোখ উপড়ে নেওয়া হবে। 

ঝাড়খণ্ডের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী লুইস মারান্ডি আরও বলেন যে, বাংলার সরকারের কোনও রকম 'অপ্রীতিকর আচরণ' উনি সহ্য করবেন না।

"ম্যাসাঞ্জোরের বাঁধের দিকে কেউ তাকালে তার চোখটা উপড়ে নেব", বলেন দুমকার বিজেপি বিধায়ক।

গত  3 অগস্ট পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে নীল-সাদা রঙে রাঙিয়ে দেওয়া শুরু হয় ম্যাসাঞ্জোরের বাঁধকে। 

লুইস মারান্ডির মন্তব্যের জবাবে চুপ করে নেই রাজ্য সরকারও। মুখ খুলেছেন কেউ কেউ। তাঁদের মধ্যে একজন হলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী সোমেন মহাপাত্র। তিনি বলেন, ওই বাঁধটির দেখভাল করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার৷ এবং, তাঁদের কাজকে থামিয়ে দেওয়ার অথবা তাঁদের কাজে বাধা দেওয়ার কোনওরকম অধিকার কারও নেই।

"এই বাঁধটা ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত। বাঁধটা যখন তৈরি হচ্ছিল, দুমকার 144' টি গ্রামের মানুষদের স্থানান্তরিত করা হয়েছিল", সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেন লুইস মারান্ডি। তিনি আরও বলেন, ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসও এই ব্যাপারটি নিয়ে চিন্তিত।

তিনি বলেন, ম্যাসাঞ্জোরের বাঁধের একটি গেট থেকে ঝাড়খণ্ড সরকারের লোগো সরিয়ে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

"দুমকার প্রশাসনের অনুমতি ব্যতীত তাদের এই এলাকায় এক পা রাখাও উচিত নয়", বলেন লুইস মারান্ডি।

ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার জেলা সভাপতি অমিত রক্ষিত বলেন তাঁর দলের কর্মীরা সংশ্লিষ্ট গেটটিতে ঝাড়খণ্ড সরকারের লোগো লাগিয়ে দিয়েছেন ইতিমধ্যেই।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)
.