জল্পনা, পরিবেশ ও শিক্ষা দফতর পেতে পারেন আদিত্য ঠাকরে
মুম্বই: "আমাদের তিন শরিক (শিব সেনা, এনসিপি, কংগ্রেস) দলের মতাদর্শ আলাদা। কিন্তু আমাদের অভিন্ন কর্মসূচি একটাই, মানুষ কী বলতে চাইছে সেটাই শোনা"। পূর্ণ মন্ত্রী পদে শপথ নিয়ে সোমবার এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথাই বললেন শিব সেনার তরুণ বিধায়ক আদিত্য ঠাকরে। এদিন তিনি বলেন, "সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল বিনম্র থাকা এবং মানুষের কথা মন দিয়ে শোনা। আমাদের কাছে যত বেশি মানুষ আসবেন, আমরা তাঁদের প্রত্যেকের কথাই শুনবো।' এদিন শিব সেনার ওরলির ওই বিধায়ককে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, এই সরকার কি পূর্ণ মেয়াদ সম্পন্ন করবে? তাঁর জবাবে, মানুষের পাশে বিনম্র হয়ে থেকে তাঁদের কথা শোনার পক্ষে এভাবে সওয়াল করেন আদিত্য ঠাকরে। সোমবার মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।
অজিত পাওয়ার, আদিত্য ঠাকরে-সহ শিব সেনা, কংগ্রেস ও এনসিপির মিলিয়ে প্রায় ৩৫ জন বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করান সে রাজ্যের রাজ্যপাল। কিন্তু এখনও দফতর বণ্টন করেননি মুখমন্ত্রী। সরকারি সূত্রে খবর, অজিত পাওয়ারকে উপ-মুখ্যমন্ত্রিত্বের পদই দেওয়া হবে। এ বিষয়ে আদিত্য ঠাকরেকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, "আপনার প্রিয় বিষয় শিক্ষা আর পরিবেশ! এই দুটির মধ্যে কোনও একটা দফতরের দায়িত্ব কি আপনি পাচ্ছেন"? এই প্রশ্নের জবাবে ওরলির ওই তরুণ বিধায়ক বলেছেন, "আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। মুখ্যমন্ত্রী এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী জানেন"।
পরিবারে কি কিছুই আলোচনা হয়নি? এর জবাবে, আদিত্য ঠাকরে বলেছেন, আমরা বরাবরই পরিবার আর রাজনীতিকে আলাদা রাখি। সে কারণে রাজনৈতিক কৌশল পরিবারের অন্দরে গোপন রাখা হয়। তবে পরিবার আমাকে সংস্কৃতির পাঠ দিয়েছে। তাই আমি, আমার পূর্বসূরি, মা-বাবা, কাকা ও অন্য আত্মীয়-স্বজনের কাছে কৃতজ্ঞ। এদিন এমন দাবিও করেছেন আদিত্য ঠাকরে। এই গোটা যাত্রা পথে, তাঁর মা ছায়াসঙ্গী হিসেবে পথ দেখিয়েছেন। এদিন একথাও অকপটে স্বীকার করেন শিব সেনার ওরলির ওই বিধায়ক।