ঢাকাতে দুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে যোগ দিতে বাংলাদেশ গিয়েছেন রাজনাথ সিংহ
ঢাকা: বাংলাদেশের মাটি কি ভারতবিরোধী কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করা হয? এই নিয়ে বিতর্ক খুব নতুন নয়। দেশের বিভিন্ন মহল থেকে এই নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে একাধিকবার। বাংলাদেশ গতকাল ভারতকে এই নিয়ে আশ্বস্ত করে জানাল যে, তাদের ভূখণ্ড থেকে কোনওরকম ভারতবিরোধী কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না। কোনওরকম সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকেও প্রশ্রয় দেওয়া হবে না ওই দেশের মাটি থেকে, আশ্বাস দিয়েছে বাংলাদেশ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ তাঁর তিন দিনের বাংলাদেশ সফরের জন্য এখন ভারতের প্রতিবেশী দেশটিতে রয়েছেন। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ আলোচনা হয়েছে তাঁর। তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে রাজনাথ সিংহ এখন ঢাকায় রয়েছেন।
“ওই বৈঠকে সমস্ত নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সন্ত্রাস দমন, দুই দেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলির মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং জাল নোট, মাদক ও মানব পাচার সহ বিভিন্ন অবৈধ কার্যকলাপ দমন করার বিষয়ে সফল আলোচনা হয়”, ঢাকার ভারতীয় দূতাবাস থেকে একটি বিবৃতির মাধ্যমে এই কথা জানানো হয়েছে।
রাজনাথ সিংহের সঙ্গে বৈঠক শেষের পর আসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের বলেন, নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ই আলোচনায় সবথেকে বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। তার মধ্যেও যে বিষয়গুলি বারবার উঠে এসেছে আলোচনায়, সেগুলি হল- সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত পেরিয়ে এসে করা অপরাধ… এছাড়া, আরও বিভিন্ন বেআইনি কার্যকলাপ নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
তাঁর সংক্ষিপ্ত মন্তব্যে রাজনাথ সিংহ সাংবাদিকদের বলেন, “অত্যন্ত সফল একটি বৈঠক হয়েছে আমাদের মধ্যে”। তিনি আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হননি।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, “আমরা কোনওভাবেই ভারতের বিরুদ্ধে কোনওরকম সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য এই দেশের মাটিকে ব্যবহার করতে দেব না। সন্ত্রাসবাদকে কোনওভাবেই আমরা বরদাস্ত করব না। এই ক্ষেত্রে আমাদের নীতি স্পষ্ট”।
তিনি জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদ দমনের জন্য সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে ভারত।
“সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমাদের সঙ্গে আদানপ্রদান করে আমাদের সহায়তা করছে ভারত”, বলেন তিনি।
“দুই দেশের মধ্যে ভ্রমণের ব্যবস্থা আরও সহজ করার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে”, বলেন আসাদুজ্জামান খান। তার সঙ্গে তিনি যোগ করেন, বাংলাদেশি স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বয়স্ক নাগরিকরা ভারতে আসার পাঁচ বছরের মাল্টিপল ভিসা পাবেন। এছাড়া, পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে ও চিকিৎসা সংক্রান্ত ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার ভিসা-প্রক্রিয়াটি সহজতর করে তোলা হবে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)