This Article is From Nov 05, 2019

‘‘আরসিইপি উন্মুক্ত, ভারতের আগাম যোগদানকে স্বাগত’’: চিন

ভারতের দাবি, এই চুক্তি সম্পন্ন হলে সস্তা চিনা কৃষি ও শিল্প পণ্যে ভরে যাবে ভারতের বাজার। এর ফলে দেশীয় পণ্যের বাজারের প্রভূত ক্ষতি হবে।

‘‘আরসিইপি উন্মুক্ত, ভারতের আগাম যোগদানকে স্বাগত’’: চিন

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) জানিয়ে দিয়েছেন, ভারত প্রস্তাবিত ১৬ দেশের বৃহত্তম মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আরসিইপি-তে যোগ দেবে না।

হাইলাইটস

  • আরসিইপি-তে যোগ দিচ্ছে না ভারত
  • চিন জানিয়েছে, আগামী দিনে তারা ভারতকে এই চুক্তিতে দেখতে চায়
  • প্রসঙ্গত, গত পাঁচ বছরে চিনা পণ্যের আমদানি এদেশে বেড়েছে ১৫ শতাংশ
বেজিং:

আরসিইপি-তে (RCEP) যোগ দিচ্ছে না ভারত। এই পরিস্থিতিতে মুখ খুলল চিন(China)। তারা জানিয়ে দিল, যে ইস্যুতে আপত্তির কারণে ভারত যোগ দিচ্ছে না, তা জলদিই সমাধান করার চেষ্টা করবে তারা। ‘‘পারস্পরিক বোঝাপড়া''-র প্রসঙ্গে তারা একথা জানিয়েছে। চিন জানিয়েছে, আগামী দিনে তারা ভারতকে এই চুক্তিতে দেখতে চেয়ে স্বাগত জানাচ্ছে। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) জানিয়ে দিয়েছেন, ভারত প্রস্তাবিত ১৬ দেশের বৃহত্তম মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আরসিইপি-তে যোগ দেবে না। তাঁর দাবি, ভারত চায় ‘‘পারস্পরিক বোঝাপড়ার আরসিইপি যেথানে সব পক্ষই সমান লাভ পেতে পারবে।''

প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘‘আরসিইপি-র বর্তমান চেহারায় মূল আদর্শ ও নীতি প্রতিফলিত হচ্ছে না। এর থেকে ভারতের অনিষ্পন্ন সমস্যা ও উদ্বেগেরও সমাধান হচ্ছে না। এই ‌পরিস্থিতিতে ভারতের পক্ষে আরসিইপি চুক্তিতে যোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।''

ভারতের দাবি, এই চুক্তি সম্পন্ন হলে সস্তা চিনা কৃষি ও শিল্প পণ্যে ভরে যাবে ভারতের বাজার। এর ফলে দেশীয় পণ্যের বাজারের প্রভূত ক্ষতি হবে।

এপ্রসঙ্গে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র গেং শুয়াং মঙ্গলবার জানিয়েছেন, চিন এই চুক্তিতে ভারতের যোগদানকে স্বাগত জানাতে চায়।

তিনি বলেন, ‘‘আরসিইপি উন্মুক্ত রয়েছে। আমরা পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং বন্দোবস্তের মাধ্যমে আলোচনা ও সমাধান করার চেষ্টা করব ভারতের তোলা ইস্যুগুলির এবং ভারতের যোগদানকে স্বাগত জানাব।''

তিনি জানান, আরসিইপি একটি আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি এবং প্রকৃতিগত ভাবেই পারস্পরিক বোঝাপড়ার যোগ্য।

তিনি আরও বলেন, ‘‘এটি দ্বিমুখী এবং পরিপূরক (চুক্তি)। এবং আমি বলতে চাই ভারত ও চিন দু'জনেই মুখ্য উন্নয়নশীল দেশ হয়ে উঠছে। আমাদের ২.৭ বিলিয়ন মানুষের বাজার রয়েছে এবং সেই বাজারের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।''

প্রসঙ্গত, গত পাঁচ বছরে চিনা পণ্যের আমদানি এদেশে বেড়েছে ১৫ শতাংশ। সেপ্রসঙ্গে গেং শুয়াং জানাচ্ছেন, ‘‘আমরা ইচ্ছাকৃত ভাবে ভারতের বিপক্ষে বাণিজ্যিক উদ্বৃত্ত অনুসরণ করি না। আমরা বিনিয়োগে আমাদের সহযোগিতা আরও বর্ধিত করতে পারি।''

.