সত্যের জন্য যাঁরা লড়াই করে তাঁদের কোনও মূল্য নেই। (ফাইল ছবি)
নয়াদিল্লি: সরকারের ভীতু রাজনীতি আর ডাইনি বিদ্যার কাছে মাথা নত করবে না কংগ্রেস। বুধবার এভাবেই বিজেপিকে তোপ দাগলেন রাহুল গান্ধি। আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগে গান্ধি পরিবারের সঙ্গে যুক্ত তিনটি ট্রাস্টের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ভীতু ও ডাইনিবিদ্যা বলে কটাক্ষ করলেন কংগ্রেস সাংসদ (Cong MP Rahul Gandhi)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) কটাক্ষ করে রাহুল গান্ধি বলেন, "আমাদের প্রধানমন্ত্রী মনে করেন বিশ্বটা তাঁর মতোই। প্রত্যেকের মূল্য আছে এবং প্রত্যেককে কেনা যাবে। উনি এটা বোঝেন না, সত্যের জন্য যাঁরা লড়াই করেন, তাঁদের মূল্য হয় না এবং কেনাও যায় না।"
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বলেছে, "আন্তঃমন্ত্রী পার্ষদের একটা কমিটি আয়কর লঙ্ঘন ও বিদেশী মুদ্রা নয়ছয়ের অভিযোগে তদন্ত করবে। রাজীব গান্ধি ফাউন্ডেশন, রাজীব গান্ধি চ্যারিটেবল ট্রাস্ট আর ইন্দিরা গান্ধি মেমোরিয়াল ট্রাস্টের বিরুদ্ধে এই তদন্ত হবে।"
গান্ধি পরিবারের সঙ্গে যুক্ত তিনটি ট্রাস্টের আর্থিক লেনদেনের অভিযোগের বিষয়ে এবার বিস্তারিত তদন্ত করা হবে, বুধবার জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক মুখপাত্র টুইট করে জানান যে, রাজীব গান্ধি ফাউন্ডেশন, রাজীব গান্ধি চ্যারিটেবল ট্রাস্ট এবং ইন্দিরা গান্ধি মেমোরিয়াল ট্রাস্টের বিরুদ্ধে ওঠা আয়কর ও অনুদানের বিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে তদন্তের জন্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, তবে এই কমিটির নেতৃত্ব দেবেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের নির্দেশক।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক টুইট বার্তায় বলা হয়েছে, গান্ধি পরিবার পরিচালিত ট্রাস্টগুলো কোনওভাবে প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (পিএমএলএ), আয়কর আইন এবং বিদেশি অবদান বিষয়ক আইনগুলো লঙ্ঘন করছে কিনা সেই বিষয়গুলোই তদন্তে খতিয়ে দেখা হবে।
গত মাসেই, ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের তরফে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে "দুঃসাহসিক জালিয়াতি" করার অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগ করা হয় যে, ইউপিএ সরকারের আমলে ক্ষমতায় থাকাকালীন মনমোহন সিং সরকার প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে অর্থ নিয়ে তা অনুদান হিসেবে দিয়েছিলেন রাজীব গান্ধি ফাউন্ডেশনকে।
দেশের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে কংগ্রেস, এমনভাবেই তোপ দাগে বিজেপি৷ দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা টুইট করেন, "প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে ইউপিএ জমানায় রাজীব গান্ধি ফাউন্ডেশনে অর্থ অনুদান দেওয়া হয়েছিল। করেছিল। প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল বোর্ডের শীর্ষে তখন কে বসেছিলেন? সনিয়া গান্ধি। রাজীব গান্ধি ফাউন্ডেশনের সভাপতিত্ব কে করেন? সনিয়া গান্ধি। এটা চূড়ান্ত ভাবে নিন্দনীয় এবং গোটা বিষয়টির স্বচ্ছতা নিয়েও একাধিক প্রশ্ন থেকে যায়।