Jammu and Kashmir-এর অনেক এলাকায় এখনও বিধিনিষেধ জারি রয়েছে।
নয়া দিল্লি: কংগ্রেস নেতা Rahul Gandhi এবং অন্যান্য বিরোধী দলের নেতারা শনিবার Jammu and Kashmir সফর করবেন। চলতি মাসের গোড়াতেই এই রাজ্য থেকে বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার এবং রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার, তখন থেকেই গোটা উপত্যকা অঞ্চলে আরোপ করা হয় বেশ কিছু বিধিনিষেধ। তবে Rahul Gandhi-র এই সফরের ইচ্ছার পরিপ্রেক্ষিতে আগেই জম্মু ও কাশ্মীরের তথ্য ও জনসংযোগ দফতর টুইট করেছে যে রাজনৈতিক নেতাদের এই মুহুর্তে "শ্রীনগর সফর না করাই উচিত কারণ তাঁরা অন্যান্য লোকেদের অসুবিধায় ফেলবেন। এই সময় এমন একটা সময় যখন সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষকে সীমান্ত সন্ত্রাস ও জঙ্গি হামলার হুমকি থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করছে ... "।
"কোনও শর্ত নেই, তাহলে কখন আসতে পারি?" জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপালকে জিজ্ঞাসা করলেন রাহুল গান্ধি
সূত্র জানিয়েছে, শ্রীনগরে বিরোধী প্রতিনিধি দলে অংশ নেওয়া দলগুলি হল কংগ্রেস, সিপিআই (এম), সিপিআই, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেস এবং ডিএমকে।
গুলাম নবি আজাদ ও আনন্দ শর্মার মতো দুই প্রবীণ কংগ্রেস নেতাও জম্মু ও কাশ্মীরে যাচ্ছেন Rahul Gandhi-র সঙ্গে। গত মঙ্গলবার সহ মোট দু'বার গুলাম নবি আজাদকে জম্মু বিমানবন্দর থেকেই "জোর করে" দিল্লি ফেরৎ পাঠানো হয়েছিল।
"আমরা সকলেই দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল এবং নেতা-কর্মী। আমরা কোনও আইন ভাঙতে যাচ্ছি না। জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। প্রায় ২০ দিন হয়ে গেল। এই ২০ দিনে সেখানকার কোনও খবর নেই। সরকার বলছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। তাই যদি হয় তাহলে তাঁরা নেতাদের সেখানে যেতে দিচ্ছে না কেন? এমন বৈপরীত্য দেখিনি ... যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিকই হয় তবে কেন আমাদের সেখানে যাওয়ার ব্যাপারে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না? " শনিবার সকালে দিল্লির বিমানবন্দর থেকে শ্রীনগরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার সময় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে একথা বলেন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ।
সূত্র মারফৎ খবর, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআইয়ের ডি রাজা, ডিএমকে নেতা তিরুচি শিব, রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতা মনোজ ঝা এবং তৃণমূল কংগ্রেসের দীনেশ ত্রিবেদীও ওই প্রতিনিধি দলে অংশ নেবেন।
জম্মু ও কাশ্মীরে এখনও গ্রেফতার করে রাখা হয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লাকে
জানা গেছে, জম্মু ও কাশ্মীরে প্রবেশের অনুমতি পেলে বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা রাজ্যের অন্যান্য অংশ ঘুরে দেখবেন। যদিও এখনও পর্যন্ত সরকার কোনও রাজনৈতিক নেতাকে সে রাজ্যে প্রবেশ করতে দেয়নি।
ইতিমধ্যেই জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন শুক্রবার বিরোধী নেতাদের শ্রীনগর সফর করতে বারণ করেছে। কারণ তাঁরা মনে করছে ওই নেতাদের উপস্থিতি সেখানকার "স্বাভাবিক পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারের চেষ্টাকে ব্যাহত করবে"।
জম্মুতে কংগ্রেসের দুই প্রবীণ নেতাকে গ্রেপ্তার নিয়ে টুইটারে রাহুল গান্ধীর ক্ষোভ প্রকাশ
"প্রবীণ রাজনৈতিক নেতাদের এখানকার স্বাভাবিক জীবনযাত্রার ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করা উচিত নয়। রাজনৈতিক নেতাদের অনুরোধ করা হচ্ছে শ্রীনগরে সফর না করার জন্যে কারণ তাঁদের এই সফর অন্য মানুষদের অসুবিধায় ফেলবে," বিবৃতি দিয়ে টুইট করা হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রশাসনের তরফে।
জম্মু ও কাশ্মীরে এখনও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতি সহ প্রায় ৪০০ রাজনীতিবিদ গ্রেফতার রয়েছেন। রাজ্যের বেশ কয়েকটি এলাকায় এখনও এই বিধিনিষেধ জারি রয়েছে।