Coronavirus: বহু রাজ্য এরই মধ্যে লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছে কেন্দ্রকে।
নয়াদিল্লি: ৭০ শতাংশ করোনা (Coronavirus) আক্রান্তর মধ্যেই করোনা সংক্রমণের সামান্য অথবা অতি সামান্য লক্ষণ দেখা যায়। সেক্ষেত্রে তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Health Ministry) কোভিড-১৯-এর (COVID-19) মোকাবিলা সংক্রান্ত গাইডেন্স ডকুমেন্টে একথা জানিয়েছে। পাশাপাশি মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল জানিয়েছেন, আইসিএমআর-এর সাম্প্রতিক সমীক্ষা থেকে জানা যাচ্ছে কোনও ব্যক্তি যদি লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম না মানেন তবে তিনি ৩০ দিনে ৪০৬ জনের শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে দিতে পারেন। আর এক সপ্তাহ পরেই দেশব্যাপী লকডাউন উঠে যাওয়ার কথা। তার আগে সরকারের তরফে একথা জানানো হল। তবে যেভাবে দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বাড়ছে তা দেখে বহু রাজ্য এরই মধ্যে লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছে। কেন্দ্র জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে।
‘‘আপনার করোনা সংক্রমণ হোক'', রায়ে অসন্তুষ্ট আইনজীবীর অভিশাপ হাইকোর্টের বিচারপতিকে
সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, লকডাউন বা কোয়ারান্টাইনের নিয়ম কেউ না মানলে তাঁর দু'বছরের জেল হতে পারে।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, তাঁর সরকার ৩,০০০ বেডের বন্দোবস্ত করেছে। প্রয়োজন পড়লে তা ৮,০০০-ও করা হতে পারে বলে তিনি জানান।
বহু রাজ্যই বাড়াতে চাইছে লকডাউন; ১৪ এপ্রিলেই লকডাউন শেষ না হওয়ার জল্পনা: সরকারি সূত্র
দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ৪,২০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে, এমন অনেকেই হয়তো রয়েছেন যাঁদের দেহে সেই অর্থে করোনা-সংক্রমণের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। তাঁরাও বহু সংক্রমণ ছড়াতে পারেন।
শুক্রবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, দিল্লি গণহারে পরীক্ষা শুরু করতে চলেছে। দিল্লি সরকারের লক্ষ ১ লক্ষের শরীরে করোনার পরীক্ষা করা।