This Article is From Jan 06, 2020

হামলার সময় 'জয় শ্রী রাম' শোনা গিয়েছে: নিউ ইয়র্ক টাইম্‌সের প্রতিবেদন

সেই প্রতিবেদন এনডিটিভি ও বিভিন্ন সোশাল সাইটের ছবির সূত্র টেনে বলেছে, কী ভাবে আততায়ীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ভাঙচুর করেছে।

হামলার সময় 'জয় শ্রী রাম' শোনা গিয়েছে: নিউ ইয়র্ক টাইম্‌সের প্রতিবেদন

সেই প্রতিবেদন বিভিন্ন সোশাল সাইটের ছবির সূত্র টেনে বলেছে, কী ভাবে আততায়ীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ভাঙচুর করেছে।

হাইলাইটস

  • ভাঙচুরের সময় জয় শ্রী রাম স্লোগান শোনা গিয়েছে।
  • প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান উল্লেখ করে দাবি করেছে নিউ ইয়র্ক টাইম্‌স
  • টানা হয়েছে এনডিটিভির প্রতিবেদন ও সোশাল সাইটের ছবির প্রসঙ্গ।
নয়াদিল্লি:

জেএনইউ-তে (JNU) ভাঙচুরের সময় জয় শ্রী রাম (Jay Shree Ram) স্লোগান শোনা গিয়েছে। এক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান উদ্ধৃত করে সোমবার এ দাবি করেছে নিউ ইয়র্ক টাইমসের (New York Times) এক প্রতিবেদন। সেই প্রতিবেদন এনডিটিভি ও বিভিন্ন সোশাল সাইটের ছবির সূত্র টেনে বলেছে, কী ভাবে আততায়ীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ভাঙচুর করেছে। এমনকী, 'বেরিয়ে যাও (গেট আউট)'- এক পড়ুয়ার থেকে এই নির্দেশ পেয়ে, এক আততায়ীকে দেখা গিয়েছে তাঁর দিকে ব্যাট তুলে এগিয়ে যেতে। প্রতিবেদনে এমন উল্লেখও করা হয়েছে। 'নয়াদিল্লির বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখোশধারীদের (Masked attackers) তাণ্ডব'-শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষের ওপর হওয়া হামলার খবরের উল্লেখ আছে। যে হামলার পর সংবাদমাধ্যমকে ঐশী ঘোষ বলেছিলেন, "আমি নৃশংস হামলার শিকার"। সেই সময় তাঁর মাথা চুঁয়ে রক্ত (blood) ঝরছে এমন একটা ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে।


নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর ওই প্রতিবেদন বলেছে, পড়ুয়া ও অধ্যাপক মিলিয়ে অন্তত ৪২ জন আক্রান্ত। আক্রান্ত পড়ুয়াদের অভিযোগ, এই হামলার নেপথ্যে বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। যদিও তারা এই অভিযোগ খারিজ করেছে। এবিভিপির সূত্র উল্লেখ করা বলা হয়েছে, পরীক্ষার ফি বৃদ্ধি সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের জেরেই এত বড় হামলা। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম ছাত্র শিবিরের অভিযোগ, ওরা বেছে বেছে সেই সব পড়ুয়াদের ওপর হামলা করেছে যারা উদার (লিবারাল) মানসিকতার। যে পড়ুয়ারা, কেন্দ্রের নেওয়া সিএএ ও  এনআরসি'র প্রতিবাদ সামনে থেকে করেছেন।তাঁদের ওপরেই হামলা হয়েছে। 


সেই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ, গত মাসে নয়াদিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি অভিযান হয়েছিল। সেই অভিযানে পুলিশ নির্বিচারে পড়ুয়াদের ওপর কাঁদানে গ্যাস, প্রতিবাদীদের লক্ষ্য করে গুলি ও লাইব্রেরিতে ক্যানিস্টার ছুড়েছিল। যে কারণে, এক পড়ুয়া সামান্য অন্ধ হয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের। 
এদিকে, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পড়ুয়াদের অভিযোগ, জেএনইউ-কাণ্ডে বিশেষ কোড-ওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়েছিল। ওই কোড-ওয়ার্ড বলে দিচ্ছিল কার ওপর, কীভাবে হামলা করতে হবে। কারা ছাড় পাবেন। জেএনইউর ছাত্র সংসদ সূত্রে এমন অভিযোগ। ওই সূত্রের দাবি, রবিবারের হামলায় যেমন বহিরাগত ছিল, তেমনই বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু পড়ুয়াও যুক্ত ছিল। রাতের অন্ধকারের সুযোগে, মুখোশ পরে কোড-ওয়ার্ড ব্যবহার করে তারা এই সুপরিকল্পিত কার্যসিদ্ধি করেছে বলে আক্রান্ত পড়ুয়াদের দাবি।  


পাশাপাশি, এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)-এর পাল্টা দাবি, পরীক্ষার ফিজ বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী পড়ুয়ারা। যে সব পড়ুয়া ফিজ বৃদ্ধির পক্ষ নিয়ে অনলাইন ফর্ম পূরণ করছিলেন, ওই পড়ুয়ারা তাঁদের বাধা দেয়। এনিয়ে গত কয়েকদিন ধরে ক্যাম্পাসে একটা দ্বন্দ্বের পরিবেশ ছিল। কিন্তু রবিবার ওই বামপন্থী পড়ুয়ারা পেরিয়ার হোস্টেলে হামলা চালায়। সেই সময় হস্টেলে উপস্থিত কিছু সংখ্যক এবিভিপি সমর্থক ওই হামলার মুখে পড়েন। সে সময় সাদা পোশাকে মাত্র ১০ জন পুলিশকর্মী ক্যাম্পাসে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের পক্ষে সম্ভব ছিল না, এই হামলা প্রতিহত করা। 


এমনকী, যে সার্ভারে ফর্ম পূরণ চলছিল, তাতেও ভাঙচুর করেন বামপন্থীরা ছাত্ররা। এরপর এবিভিপি ছাত্রদের ওপর হামলার খবর বাইরে চাউর হতে, বিকেল ৫টা নাগাদ বহিরাগতদের জমায়েত বাড়ে। এরপরেই ধীরে ধীরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ছড়িয়ে পড়ে পাল্টা হামলা, দাবি করেছে এবিভিপির একটি সূত্র। 
এদিকে পুলিশের তরফে দাবি, ভোর প্রায় ৪টে নাগাদ সহ-উপাচার্যের অনুমতি নিয়ে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেছিল। যদিও, ততক্ষণে অভিযুক্তরা ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ আক্রান্ত পড়ুয়াদের।         

.