This Article is From Apr 19, 2019

পণের জন্য অত্যাচার, গৃহবধূকে গাছ থেকে ঝুলিয়ে দিল শ্বশুরবাড়ির লোক

দীর্ঘদিন ধরেই রাখির ওপর বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার করে চলত শ্বশুরবাড়ির মানুষগুলো। বিশেষ করে তাঁর শ্বশুর আর শাশুড়ি।

পণের জন্য অত্যাচার, গৃহবধূকে গাছ থেকে ঝুলিয়ে দিল শ্বশুরবাড়ির লোক

ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে দেহটি। (ছবি প্রতীকী)

মুজফফরনগর:

আদিকাল থেকে চলে আসা সেই ট্র্যাজেডি। মেয়ে শ্বশুরবাড়ি যাবে, মেয়ের বাবা অতি দরিদ্র, তাঁর তেমন ক্ষমতা নেই মেয়ের বিয়েতে তেমনকিছু করার। মেয়ে শ্বশুরবাড়ি গেল। তারপর থেকে তাঁর ওপর অত্যাচার শুরু হল এই ‘যুক্তি'তে যে, কেন তাঁর বাড়ি থেকে কিছু দেওয়া হয়নি! কেন তাঁর বাড়ি থেকে কিছু দেওয়া হবে না। অসহায় অল্পবয়সী মেয়েটি, যে অনেক স্বপ্ন নিয়ে স্বামীর সঙ্গে এসে দাঁড়িয়েছিল শ্বশুরবাড়ির চৌকাঠে, সে এইসব গঞ্জনা নিয়মিত শুনতে শুনতে, এইসব মারধর নিয়মিত সহ্য করতে করতে নিজের ভিতর থেকেই মরে যায় যেন। চুপি চুপি একা একা। সুমনের গানের কত অজ্ঞাত কবিদের মতো করেই…

উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগরে হরসৌলি নামের একটি গ্রাম রয়েছে। তেমন একটি গ্রামের একটি বাড়িতেই বধূ হয়ে এসেছিল রাখি। অত্যাচারের মূল চিত্রটি তো আর বদলায় না কখনওই। কেবল নামগুলো বদলে যায়। স্থানগুলো বদলে যায়। আসলে, যেন মিশে যায় সকল অত্যাচরিত গৃহবধূর মুখই, এই একটি ক্ষেত্রে।

মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে কনেকে নিয়ে পালাল প্রাক্তন প্রেমিক

বৃহস্পতিবার তাঁর শ্বশুরবাড়ির সামনে থেকেই সকালবেলা রাখির মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। বাড়ির সামনের একটি গাছ থেকে ঝুলছিল সেটি।

রাখির অভিভাবকরা অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাতে স্পষ্ট উল্লেখ করা রয়েছে যে, দীর্ঘদিন ধরেই রাখির ওপর বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার করে চলত শ্বশুরবাড়ির মানুষগুলো। বিশেষ করে তাঁর শ্বশুর আর শাশুড়ি। কারণ ওই একটাই, তেমনভাবে পণ দিতে না পারা।

এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।

রাখির ঝুলন্ত দেহটি সকালেই সমস্ত গ্রামবাসীর চোখের সামনে দিয়েই নামিয়ে এনেছে পুলিশ। তা এখন রয়েছে লাশকাটা ঘরের শান্তিতে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে এখন ভারতবর্ষের এক মা-বাবা।  



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.