தமிழில் படிக்க Read in English
This Article is From Jul 26, 2018

রেস্তোরাঁতেই জন্ম সন্তানের, আজীবন বিনামূল্যে সদ্যোজাতকে খাদ্য সরবরাহের সিদ্ধান্ত রেস্তোরাঁর

গ্রেসিলিন বড় হয়ে চাইলে ওই রেস্তোরাঁতেই প্রথম চাকরি করতে পারে বলেও ঘোষণা করেছে চিক-ফিল-এ।

Advertisement
অফবিট

সদ্যোজাত কন্যা গ্রেসিলিন মে ভায়োলেট গ্রিফিনের ছবি শেয়ার করেছে চিক-ফিল-এ

নিউ দিল্লি:

"আমরা শুধু খাবারই ডেলিভারি করি না, সন্তানের ডেলিভারিও করি”- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ফুড চেন চিক-ফিল-এ তাঁদের ফেসবুকে এমনটাই ঘোষণা করেছে।

 কিন্তু এ আবার কেমন কথা? খাবারের সাথে শিশুর ডেলিভারির কী সম্পর্ক?

আসলে এই রেস্তোরাঁরই ওয়াশরুমে সদ্য সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক মহিলা। গত 17 জুলাই রাতে যখন চিক-ফিল-এর স্যান অন্টোনিওর একটি দোকানের কর্মীরা দোকান বন্দই করতে যাচ্ছিলেন, তাঁরা শোনেন কেউ খুব জোরে জোরে বাথরুমের দরজায় আঘাত করছেন। তখনও তাঁরা ভাবতেই পারেননি তাঁদেরই ওয়াশরুমে জন্ম নেবে এক শিশু।

চিক-ফিল-এ তাঁর শিশুর জন্মের গল্পটি ফেসবুকে ওই শিশুটিরই বাবা রবার্ট গ্রিফিন শেয়ার করেছেন। বলাবাহুল্য পোস্ট হতে না হতেই ভাইরাল হয়ে যায় এই ঘটনাটি। ওই ফেসবুক পোস্টে 3 লাখের বেশি 'লাইক' পেয়েছেন রবার্ট। কীভাবে তিনি এবং তার স্ত্রী ম্যাগি হাসপাতালে যাচ্ছিলেন, মাঝে চিক-ফিল-এতে তাঁদের বড় মেয়েকে এক বন্ধুর সাথে নামিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের- সেই সমস্তই ফেসবুকে বিস্তারিত লিখেছেন রবার্ট।

"ম্যাগির প্রচণ্ড লেবার পেন হচ্ছিল। আমাকে সে জানায় এক্ষুণি বাথরুমে যেতেই হবে তাঁকে। বড়মেয়েকে রেস্টুরেন্টে নামানোর পর ম্যাগিকে বাথরুম থেকে নিয়েও আসতেই ভেতরে ঢোকেন রবার্ট। রবার্ট আরও লিখেছেন, “আমাকে হোটেলের ম্যানেজার জানান ন্যাগি রেস্টরুমে আছে, ব্যথায় চিৎকার করছে। আমরা দৌড়ে সেখানে যাই। দেখতে পাই মাথাটা বেরিয়ে আসছে আমাদের শিশুর।

 
 

রবার্ট লিখেছেন, যে ম্যানেজারকে 911-এ ফোন করে পরিষ্কার তোয়ালে নিয়ে এসে বাচ্চাটির সুস্থডেলিভারির চেষ্টা করতে থাকেন তিনি।  বুঝতে পারেন নাড়িটি সদ্যোজাতের গলায় পেঁচিয়ে গেছে। কিন্তু স্ত্রীকে এই নিয়ে কিছুই বলেন না তিনি। বরং তাঁকে শান্ত করতে থাকেন যাতে শিশুর জন্ম দিতে কোনও জটিলতা না তৈরি হয়। তারপর সাবধানে তিনি নাড়ির প্যাঁচ থেকে বার করে আনেন তাঁদের সদ্যোজাতকে। সুস্থ ভাবেই পৃথিবীর আলো দেখে রবার্ট ও ম্যাগির দ্বিতীয় কন্যা সন্তান গ্রেসিলন মে ভায়োলেট গ্রিফিন।

Advertisement

ফেসবুক পোস্টে এই জন্মের কাহিনিকে অনেকেই ‘বিস্ময়কর’ বলে কমেন্ট করেছেন। সদ্যোজাতকে  অভিনন্দনও জানিয়েছেন অনেকেই।

 
 

স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই সংস্থা আজীবন বিনামূল্যে গ্রেসিলনকে খাদ্য সরবরাহ করবে বলে জানিয়েছে, এখানেই শেষ না, গ্রেসিলিন বড় হয়ে ওখানেই চাইলে প্রথম চাকরি করতে পারে বলেও ঘোষণা করেছে চিক-ফিল-এ।

Advertisement