পৃথিবীতে এসেছেন যখন এমন কিছু তো করতে হবে যাতে ছাপ রেখে যেতে পারেন! এমন ভাবনা থেকেই সম্ভবত ফিশিং ডার্বি ফটো প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন ৪৫ বছরের ওয়াশিংটনের (Washington) বাসিন্দা জেমি বিসকেগলিয়া (Jamie Bisceglia)। এবং সেখানে মুখের ওপর একটি অক্টোপাসকে রেখে পোজ (to take a picture with the octopus) দেন তিনি। সেই ছবি সোশ্যালে দিয়ে ছাপ তো অবশ্যই তিনি ফেললেন দুনিয়াতে। কিন্তু সেই সঙ্গে অক্টোপাসও যে ছাপ রেখে গেল তাঁর মুখে! মুখের বাঁ-দিক জলজ প্রাণীর আঁচড়ে-কামড়ে এতটাই ক্ষত-বিক্ষত যে শেষ পর্যন্ত হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ারে (emergency room) ছুটতে হয়েছে তাঁকে।
পরে অবশ্য নিজের ভুল স্বীকার করেছেন জেমি বিসকেগলিয়া। বলেছেন, এই ধরনের হটকারি সিদ্ধান্ত নেওয়া একেবারেই উচিত হয়নি তাঁর। আসলে, ফটো প্রতিযোগিতায় সবার থেকে আলাদা কিছু করে দেখাতে গিয়েই আগুপিছু কিচ্ছু না ভেবে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন। এক মৎস্য শিকারীর থেকে অক্টোপাসটিকে নিয়ে মুখের ওপর রেখে পোজ দিয়েছেন। আর এত ভালো সুযোগ কি আর ছা়ড়ে অক্টোপাস? মহিলার মুখের বাঁ-দিকের অধিকাংশই খুবলে খেয়েছে সে! খবর, ফটো সেশনের সময় নাকি দু-বার জেমিকে কামড়েছে প্রাণিটি। তারপরেও সমস্ত যন্ত্রণা সহ্য করে ছবি তুলেছেন তিনি।
দেখুন সেই ছবি
এভাবে ছবি তুলতে গিয়ে কতটা কষ্ট সহ্য করতে হয়েছিল জেমিকে? এক সাক্ষাৎকারে তিন জানান, "আচমকাই অক্টোপাসের ধারালো ঠোঁট দিয়ে এমন ভাবে কামড়ে ধরে আমার গাল যে ব্যথার চোটে প্রাণ বেরিয়ে আসার জোগাড়! ভালো করে দেখলে সবাই বুঝতে পারবেন, যন্ত্রণার চোটে আমার চোখ ঠেলে বেরিয়ে এসেছে।"
আধ ঘণ্টা ধরে এভাবে কামড়ে ধরে থাকার পর অক্টোপাস যখন ছাড়ে জেমিকে তখ রক্তে ভেসে যাচ্ছে বাঁ-দিকের গাল। তারপরেও তিনি দু-দিন হাসপাতালে না গিয়ে ডার্বিতে মাছ ধরেছেন! ফলাফল, গাল-মুখ ফুলে ঢোল। ব্যথার চোটে অসাড় গোটা মুখ।
প্রাণ বাঁচাতে এরপর তিনি বাধ্য হয়ে ছোটেন হাসপাতালে। সেখানে ফোলা মুখে আর র্যাশ নিয়ে ভর্তি হয়ে আছেন। তিন রকমের অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হচ্ছে রোজ।
অ-সম্ভব কাণ্ড ঘটিয়ে সবার কাছে ছাপ রাখতে চেয়েছিলেন বেচারি জেমি। বদলে এভাবে চোখে-মুখে ছাপ নিয়ে ফিরতে হবে তাঁকে, কে জানত!
Click for more
trending news