বাঘপত: তবে কি আরেকটি উন্নাও কাণ্ড ঘটতে চলেছে? না, উন্নাও নয় ঘটতে চলেছে বাঘপতে। দিল্লি থেকে যার দূরত্ব মাত্র ৫৩ কিমি। সেইগ্রামের এক মহিলাকে এক বছর আগে উন্নাওয়ের ধর্ষিতার মতোই ছিঁড়ে খেয়েছিল একদল মানুষরূপী শ্বাপদ। দিল্লির মুখার্জি কলোনিতে। শুধু জ্যান্ত জ্বালিয়ে দেয়নি। খুব শিগগিরি তার থেকেও খারাপ কিছু ঘটতে চলেছে তার সঙ্গে। 'ধরলে উন্নাওয়ের ধর্ষিতার থেকেও হাল খারাপ হবে তাঁর' ("Worse Than Unnao")--- ঠিক এই ভাষায় বৃহস্পতিবার হুমকি পোস্টার পড়েছে বাঘপতে তাঁর গ্রামের বাড়ির দেওয়ালে। কারণ, গত জুলাইয়ে তিনি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন থানায়। ধরাও পড়েছিল সেই অভিযুক্ত। তারপর জামিনে ছাড়া পেয়ে জেল থেকে বেরিয়েছে সে বুধবার। আগামীকাল দিল্লি আদালতে মামলা ওঠার কথা। সেখানে যাতে সাক্ষী দিতে না যান ধর্ষিতা তারই আগাম সতর্কবার্তা এল হুমকি পোস্টারের হাত ধরে।
মাকে ধর্ষণ ছেলের, মেয়েকে বাবা! জোড়া পাশবিক কাণ্ডে চাঞ্চল্য
আত্মা কাঁপিয়ে দেওয়ার মতো এমন ঘটনা ঘটেছে দিল্লি থেকে মাত্র ৫৩ কিমি দূরে অবস্থিত উত্তরপ্রদেশের বাঘপত গ্রামে। সেই উত্তরপ্রদেশ, যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য। গত সপ্তাহেই এই রাজ্যেরই উন্নাও-র ধর্ষিতাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারে একদল ধর্ষক। ধর্ষিতা তাদের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষী দিতে যাচ্ছিলেন, এই দোষে। মর্মান্তিক সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন আতঙ্কের জন্ম আরও একবার যোগী রাজ্যেই। কী হয়েছিল বাঘপতের ধর্ষিতার সঙ্গে? থানার উচ্চপদস্থ অফিসার প্রতাপ গোপীন্দর যাদব জানিয়েছেন, ঘটনাটি ঘটেছে প্রায় এক বছর আগে। সোহরান সিং নামক এক ব্যক্তি এবং তাঁর বন্ধু মিলে দিল্লির মুখার্জি কলোনিতে নিয়ে যায় ধর্ষিতাকে। তারপর পানীয়ে মাদক মিশিয়ে বেহুঁশ করে তাঁকে। ধর্ষণ করে। বলাৎকারের ভিডিও-ও করে সে। এবং সেই ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় বলে খবর। ধর্ষিতার বাবা দিল্লিতে গাড়ি চালান। বুধবার বাড়ি ফিরে তিনিই প্রথম দেখেন হুমকি পোস্টার লাগানো তাঁর বাড়ির দেওয়ালে।
তেলেঙ্গানা গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তদের এনকাউন্টারের ঘটনায় তদন্ত কমিশন
হুমকি পোস্টার প্রকাশ্যে আসতেই স্বাভাবিক ভাবে নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন ধর্ষিতা। আঙুল উঠেছে প্রশাসনের শৈথিল্যের দিকে। তবে বাঘপত থানা থেকে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তকে আবারও গ্রেফতার করা হয়েছে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের বাদাউন থেকে। এছাড়া, বাড়তি সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে আক্রান্তকেও। এপ্রসঙ্গে অভিযুক্তের দাবি, গ্রামের কিছু মানুষ তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে তাকে ফাঁসিয়েছে। সে কোনও হুমকি পোস্টার সাঁটেনি।