চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬সি ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। (ফাইল)
শাহজাহানপুর: প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিন্ময়ানন্দের (Chinmayanand) বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা (Chinmayanand Accused Of Rape) তরুণীকে মঙ্গলবার এলএলএম তৃতীয় সেমিস্টার পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হল না উপস্থিতির হার কম জানিয়ে। ২৩ বছরের তরুণী সোমবার তাঁর প্রথম সেমিস্টারের ব্যাক পেপারের পরীক্ষায় বসেন কড়া সতর্কতার মধ্যে। কিন্তু বরেলির মহাত্মা জ্যোতিবা ফুলে রোহিলখণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় সেমিস্টার পরীক্ষায় তাঁকে বসতে দেওয়া হল না মঙ্গলবার। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ওই তরুণীর ৭৫ শতাংশ উপস্থিতি ছিল না। ওই আইনের ছাত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি চিন্ময়ানন্দকে ব্ল্যাকমেল করার চেষ্টা করেছেন। বর্তমানে তিনি শাহজাহানপুর জেলে বন্দি রয়েছেন। কারাধ্যক্ষ রাজেশকুমার রাই জানিয়েছেন, মঙ্গলবার কড়া প্রহরার মধ্যে বরেলিতে পরীক্ষা দিতে নিয়ে যাওয়া হয় ওই তরুণীকে।
তর্কতার মধ্যে। কিন্তু বরেলির মহাত্মা জ্যোতিবা ফুলে রোহিলখণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রধান অমিত সিংহ বলেন, ওই আইনের ছাত্রী পরীক্ষা দিতে এলেও কম অনুপস্থিতির কারণে তিনি অ্যাডমিট কার্ড পাননি।
চিন্ময়ানন্দের স্বামী শুকদেবানন্দ আইন কলেজের ছাত্রী ছিলেন ওই তরুণী। পরে পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য শীর্ষ আদালতের নির্দেশে তিনি বরেলি কলেজে ভর্তি হন।
স্নাতকোত্তরের ওই ছাত্রী অভিযোগ এনেছিলেন, ৭২ বছরের বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তাঁকে দৈহিক নিগ্রহ করেছেন।
চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬সি ধারায় মামলা রুজু হওয়ার পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। প্রসঙ্গত, ধর্ষণের মামলায় ৩৭৬ ধারা আনাহলে দোষী প্রমাণে অভিযুক্তর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও হতে পারে। কিন্তু ৩৭৬সি ধারায় পাঁচ থেকে দশ বছরের জেল হতে পারে।
এরপর ওই তরুণী ও তাঁর তিন বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, বিজেপি নেতার কাছ থেকে ৫ কোটি টাকা চাওয়ার।