রিপোর্ট বলছে এ রাজ্যে ধর্ষণের সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে প্রায় ৪৭ শতাংশ
হাইলাইটস
- আবারও বিতর্কে জড়ালেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর
- ২০১৪ সালে তিনি বলেছিলেন মহিলাদের পোশাক দেখে উত্তেজিত হয় ছেলেরা
- হরিয়ানায় ধর্ষণের সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে প্রায় ৪৭ শতাংশ।
চন্ডীগড়: আবারও বিতর্কে জড়ালেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর। তাঁর মনে হয় প্রাক্তন প্রেমিকের কাছে ফিরে যেতেই ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন মহিলারা। কয়কে বছরের মধ্যে হরিয়ানায় ধর্ষণের ঘটনা বেড়েছে বলে বিভিন্ন মহলে দাবি উঠেছে। একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সেই অভিযোগ খারিজ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বক্তব্যের সমর্থনে খট্টর বলেন, ধর্ষণ আগেও হত, এখনও হয়। এ ব্যাপারে সচেতনতা বেড়েছে শুধু। তাঁর দাবি দায়ের হওয়া ধর্ষণের অভিযোগের মধ্যে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ অভিযোগই দায়ের হয় পরিচিতদের বিরুদ্ধে। তাঁর একে অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে মেলামেশা করেন। এরপর আচমকা একদিন মহিলা বলেন তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে।
ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালার দাবি এই মন্তব্য থেকেই সরকাররে নারী বিরোধী মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়। নিজের রাজ্যে ধর্ষণ এবং গণ ধর্ষণের মতো ঘটনা রুখতে না পেরে মহিলাদের দুষছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তবে এই প্রথম নয় এ রাজ্যে ধর্ষণের ঘটনা বাড়ার নেপথ্যে এর আগেও মহিলাদের ঘাড়েই দোষ চাপিয়েছেন খট্টর। ২০১৪ সালে তিনি বলেছিলেন মহিলারা এমন পোশাক পরেন যাতে ছেলেদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সেটা যৌন হেনস্থার কারণ। এখানেই না থেমে তিনি বলেছিলেন স্বাধীনতা উপভোগ করতে হলে মহিলারা উলঙ্গই থাকতে পারেন। এ ধরনের ছোটখাটো পোশাক পরার নেপথ্যে আছে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির প্রভাব। ভারতীয় সংস্কৃতি মহিলাদের ‘সভ্য' ভাবে পোশাক পরতে শেখায়।
মুখ্যমন্ত্রী যাই বলুক না কেন হরিয়ানার বিধানসভায় পেশ হওয়া রিপোর্ট বলছে এ রাজ্যে ধর্ষণের সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে প্রায় ৪৭ শতাংশ।। আর মহিলাদের অপহরণের মতো ঘটনা বেড়েছে একশো শতাংশ।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনাকে শিলমোহর দেওয়ার রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া আরও অনেকেই আছেন। 2012 সালে উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম সিং যাদবের মনে হয়েছিল ছেলেরা ছেলেই থাকে আর তারা মাঝে মধ্যে ভুল কর ফেলে।