Read in English
This Article is From Jul 27, 2019

৭ অগাস্ট দেখা করব সিবিআই-এর সঙ্গে, নির্ভয়ে: ডেরেক ও' ব্রায়েন

শুক্রবার খবরে প্রকাশ, সারদা কাণ্ডে এবার তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনকে তলব করেছে সিবিআই

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

সারদা- কাণ্ডে তলব ডেরেককে

নিউ দিল্লি :

শুক্রবার খবরে প্রকাশ, সারদা কাণ্ডে এবার তৃণমূল (TMC) সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনকে (Derek O'Brien) তলব করেছে সিবিআই। তারই জবাবে শনিবার ডেরেক জানান, সংসদীয় অধিবেশন শেষ হলেই তিনি আগামী ৭ অগাস্ট (August 7) হাজিরা দেবেন গোয়েন্দা দফতরে (CBI)। একই সঙ্গে তিনি জানান, সিবিআই-য়ের তলবে একটুও ভয় (intimidated) পাচ্ছেন না তিনি।

সিবিআইয়ের এক আধিকারিক NDTV কে বলেন, “দলের মুখপত্র জাগো বাংলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কিছু নির্দিষ্ট লেনদেনের বিষয়ে আমরা তদন্ত করছি। সেই কারণে, তলব করা হয়েছে ডেরেককে।” অগাস্টের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে তাঁকে যোগ দিতে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি। প্রসঙ্গত, জাগো বাংলার প্রকাশক ডেরেক স্বয়ং।

সারদাকাণ্ডে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনকে তলব করল সিবিআই

Advertisement

এপ্রসঙ্গে ডেরেকের মন্তব্য, “এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে সিবিআই সমন পাঠিয়েছিল আমায়। তখন সংসদ অধিবেশন চলায় আমি সেই ডাকে সাড়া দিতে পারিনি। তবে সঙ্গে সঙ্গেই চিঠি পাঠইয়ে গোয়েন্দা দফতরকে জানিয়েছি, অধিবেশন শেষ হলেই নিজে হাজিরা দিয়ে তদন্তে সাহাস্য করব।”

তলবের খবর প্রকাশ্যে আসার একদিন আগেই নাকি সিবিআই অফিসারদের সঙ্গে দেখা করার কথা জানিয়েছিলেন ডেরেক। সংস্থা থেকে জানানো হয়, তার কোনও প্রয়োজন নেই। উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের আগে রোজভ্যালি কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতাকে গ্রেফতার করে জেল হেফাজতে নেয় সিবিআই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। খবর, শ্রীকান্ত নাকি ২৫ কোটি টাকা নিয়েছিলেন রোজভ্যালি প্রচারের জন্য। তার কিছু অংশ তিনি সরিয়ে দেন জাগো বাংলার অ্যাকাউন্টে। 

Advertisement

ডেরেককে সমন পাঠানোর আগে চলতি মাসের গোড়ার দিকে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়, কুণাল ঘোষ, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত সহ মোট ৬ জনকে চিটফান্ড কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এই মামলায় অভিযুক্ত কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারও।

নির্বাচনে সরকারি টাকার ব্যবহার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মমতার

Advertisement

সিবিআই তলব প্রসঙ্গে ডেরেক আরও জানিয়েছেন, তিনি সব সময়েই তদন্তের স্বার্থে গোয়েন্দা দফতরকে সাহায্য করতে প্রস্তুত। কিন্তু, ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি যেতে না পারায় অনেকেই মনে করেছেন, ভয় পেয়েছেন তিনি।  এই ভাবনা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত। ডেরেকের পাশাপাশি অন্যান্য আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়েও শাসকদলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী এমনকি সাংবাদিককেও  সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়তে হয়েছে বলে খবর।

২০১৩-য় সারদা কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পরে কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার করা হয় সংস্থার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন এবং তাঁর সহযোগী দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে। ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হয় এই সারদা মামলা। জেল হেফাজতে নেওয়া হয় সুদীপ্ত-দেবযানীকে।

Advertisement

Advertisement