প্রায় হাজার জনের জমায়েত হয়েছিল তাবলিঘ-ই-জামাতের সম্মেলনে।
নয়া দিল্লি: সংবাদ পরিবেশনায় কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করবে না আদালত। সোমবার স্পষ্ট করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সম্প্রতি এক মুসলিম সংগঠন নিজামুদ্দিন-কাণ্ড (Nizamuddin Case) নিয়ে সাম্প্রদায়িক খবর পরিবেশনার অভিযোগ তুলেছিল। সংবাদ মাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম করতে দ্বারস্থ হয় ওই সংগঠন। সেই মামলার শুনানিতে এদিন এমন মন্তব্য করেছেন ৩ বিচারপতির বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের নেতৃত্বাধীন ওই বেঞ্চের ওপর দুই বিচারপতি ছিলেন এল নাগেশ্বর আর এমএম সনাতনগৌড়া। এদিন আবেদনকারী জামিয়াত-উলেমা-হিন্দকে আদালত স্পষ্ট করেছে, "আমরা এমন কোনও নির্দেশ দেবো না যাতে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হয়।" এদিকে, লকডাউনের মেয়াদবৃদ্ধি (Coronavirus lockdown) নিয়ে আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন মোদি। বেশিরভাগ রাজ্যই ইতিমধ্যে লকডাউন বাড়াতেই পরামর্শ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে।
আগামী ৩০ এপ্রিল অবধি বাড়তে পারে লকডাউনের সময়সীমা। যদিও এই বর্ধিত লকডাউনের মধ্যে অর্থনীতির সঙ্গে জড়িত নানা বিষয়গুলির পুনঃসূচনা করার উদ্যোগও তিনি নেবেন বলেই সূত্রের খবর। শনিবার ১৩ জন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠককালে প্রধানমন্ত্রী মোদি এই বিষয়ে একমত হয়েছিলেন যে অত্যন্ত সংক্রামক কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য দীর্ঘতর লকডাউনের প্রয়োজন, তবে জীবন বাঁচানোর পাশাপাশি জীবিকা নির্বাহের বিষয়েও কথা বলেন নরেন্দ্র মোদি।
ভারতের অর্থনীতি ইতিমধ্যে গত ছয় বছরে সবচেয়ে ধীর গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে, লকডাউনের কারণে বেকারত্ব হার বেড়ে যাওয়ার ফলে তা আরও মারাত্মক আঘাত হানবে বলেই আশঙ্কা। এই নিষেধাজ্ঞার জেরে লক্ষ লক্ষ দরিদ্র মানুষের হাতে কাজ নেই এবং ছোট ছোট দোকান ও শিল্পও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।
প্রধানমন্ত্রী মোদি চার ঘণ্টার ওই বৈঠকে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, জীবন বাঁচানোকে অগ্রাধিকার যেমন দেওয়া হচ্ছে তেমন অর্থনীতিকেও আবার শুরু করা দরকার। “জান ভি, জাঁহান ভি”, বলেন নরেন্দ্র মোদি। তিন সপ্তাহ আগে দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণাকালে যা বলেছিলেন তিনি তার সঙ্গে তুলনা করেই গত বৈঠকে তিনি মুখ্যমন্ত্রীদের বলেন, “জান হ্যায় তো জাঁহান হ্যায়!”
ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ মুখ্যমন্ত্রীই উল্লেখ করেছিলেন যে লকডাউন দ্রুত সরিয়ে ফেললে COVID-19 আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বেড়ে যেতে থাকলে তা সামাল দেওয়ার মতো ক্ষমতা সব রাজ্যের নেই। মুখ্যমন্ত্রীরা কেন্দ্রের থেকে ত্রাণের প্যাকেজও চেয়েছিলেন।
সূত্রের খবর, শিল্প, নির্মাণ কাজ এবং কৃষিক্ষেত্রগুলিতে পর্যাক্রমে কাজ শুরুর অনুমতি দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।