This Article is From Jan 03, 2020

সিএএ বিলোপের কোনও প্রশ্নই নেই, রাজস্থানে কংগ্রেসকে তোপ অমিতের

তিনি বলেছেন, ক্ষমতা থাকলে সামনে এসে এই আইন নিয়ে আলোচনা করুন। নয়তো আমি আইনের প্রতিলিপি ইতালিয়ানে অনুবাদ করে দিচ্ছি পড়ে দেখুন। 

সিএএ বিলোপের কোনও প্রশ্নই নেই, রাজস্থানে কংগ্রেসকে তোপ অমিতের

রাজস্থানের জনসভা থেকে বিরোধী কংগ্রেস আর তৃণমূল কংগ্রেসকে শুক্রবার বার্তা দিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ।

হাইলাইটস

  • সিএএ বিলোপের কোনও প্রশ্নই নেই।
  • কংগ্রেস ও তৃণমূলকে শুক্রবার একহাত নিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
  • স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, কংগ্রেস ভোট ব্যাঙ্ক রাজনীতি করছে।
যোধপুর:

সিএএ (CAA) সংখ্যালঘু বিরোধী না। তাই এটা প্রত্যাহারের কোনও প্রশ্নই নেই। কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসকে (টিএমসি) শুক্রবার একহাত নিয়ে এ কথা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Home Minister) অমিত শাহ। যোধপুরে সিএএ-পন্থী এক জনসভা থেকে বিজেপি (BJP) সভাপতি তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, কংগ্রেস ভোট ব্যাঙ্ক রাজনীতি করছে। সিএএ নিয়ে ভুল তথ্য পরিবেশনা করছে। পাশাপাশি সিএএ নিয়ে বিরোধী অবস্থান নেওয়া বিরোধী দলগুলির প্রতি অমিত শাহের অভিযোগ, "মমতা বন্দোপাধ্যায়, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি আর কংগ্রেস এই আইনের বিরোধিতা করছে। ওরা মিথ্যা প্রচার করছে।" পাশাপাশি কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধিকে এদিন ঘুরিয়ে কটাক্ষ করেন বিজেপির সভাপতি। তিনি বলেছেন, ক্ষমতা থাকলে সামনে এসে এই আইন নিয়ে আলোচনা করুন। নয়তো আমি আইনের প্রতিলিপি ইতালিয়ানে অনুবাদ করে দিচ্ছি পড়ে দেখুন।"
তিনি যোধপুরের সভা থেকে বলেন, 'কংগ্রেস ভুল তথ্য প্রচার করছে। যাতে বিভ্রান্ত হয়ে দেশের যুব সমাজ পথে নেমেছেন। ওরা (কংগ্রেস) চেষ্টা করে যাক, আমরাও সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করব সংখ্যালঘু আর যুবদের কাছে পৌঁছতে।' সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের বিরোধিতায় এবার জনসংযোগ যাত্রার ডাক দিয়েছে বিজেপি। সেই যাত্রার অংশ বিশেষে এদিন যোধপুরে সভা করলেন তিনি। এই যাত্রা দিয়ে দেশের তিন কোটি পরিবারের কাছে পৌঁছতে চায় বিজেপি। তাদের কর্মসূচিতে আছে পথ নাটিকা, পদযাত্রা, ডোর-টু-ডোর প্রচার এবং ওই আইন নিয়ে মানুষকে সজাগ ও সচেতন করা। ইতিমধ্যে, এই সিএএ বিল গত ১১ ডিসেম্বর আইনে রূপান্তরিত হওয়ার পরেই পথে নামে ছাত্র-যুব সমাজ। কিছু রাজ্যে সিএএ-বিরোধী আন্দোলন হিংসাত্মক আকার নেয়। সরকারি পরিবহণ ও সম্পত্তির উপর যথেচ্ছ ভাঙচুর চলে। অভিযোগ, পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধে এযাবৎকাল প্রাণ গিয়েছে প্রায় ২৫ জন মানুষের। উত্তর প্রদেশে সেই সংখ্যাটা বেশি।  
এই আইন নিয়ে ও এনআরসি নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেরালা বিধানসভা সিএএ-বিরোধী একটা প্রস্তাব পাস করেছে। যাতে উল্লেখ, সে রাজ্যে লাগু হবে না এই আইন। ন'টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, তাঁদের রাজ্যে এই আইন লাগু হবে না। এসবের মধ্যেই জানা গেছে, সিএএ-তে এই প্রথম নাগরিকত্বের প্রমাণ নেওয়া হবে। সরকারি সূত্র বলছে, পড়শি তিন মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্র থেকে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার জেরে এদেশে আসা সংখ্যালঘুরা দ্রুত নাগরিকত্ব পাবেন। বিরোধীরা বলছে, এই আইন মুসলিম ভাবাবেগ বিরোধী আর সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থী। 

.