এডস সম্পর্কে কিছু তথ্য অবশ্যই জানা উচিত:
এইচআইভির পুরো কথা হল হিউম্যান ইমিউনো ডেফিশিয়েন্সি ভাইরাস। এই ভাইরাস সংক্রমণ ঘটায় এবং মানুষের প্রতিরক্ষাতন্তকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। যদিও এইচআইভি মানুষের মধ্যে সংক্রামিত হতে পারে কিন্তু এডস এমন একটি রোগ যা শুধুমাত্র এইচআইভি সংক্রমণের ফলেই অর্জিত হয়। এইডস এইচআইভি সংক্রমণের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
এইচআইভি অ্যান্টি-রেট্রোভাইরাল থেরাপি (এআরটি) ৩ বা ততোধিক অ্যান্টিরেট্রো ভাইরাল (এআরভি) ওষুধ দ্বারা দমন করা যেতে পারে। এআরটি এইচআইভি সংক্রমণ নিরাময় করে না কিন্তু একজন ব্যক্তির শরীরের মধ্যে ভাইরাসের প্রতিলিপি তৈরি হওয়া বন্ধ করে এবং ব্যক্তির প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা শক্তিশালী করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ২০১৭ সালে আনুমানিক ২১.৭ মিলিয়ন মানুষ এইচআইভি চিকিত্সার মধ্য দিয়ে যান। তবে বিশ্বব্যাপী, ২০১৭ সালে এইচআইভি সংক্রামিত ৩৬.৯ মিলিয়ন মানুষের মধ্যে মাত্র ৫৯% এআরটি নেন।
আপনার এইচআইভি আছে কি না তা নির্ধারণের জন্য পরীক্ষা করানোই সবচেয়ে ভাল উপায়। তবে প্রাথমিক কিছু লক্ষণগুলি হল জ্বর, ঠান্ডা লাগা, র্যাশ, রাতে ঘাম হওয়া, পেশীর ব্যথা, গলা ব্যথা, ক্লান্তি, গলায় ঘা বা মুখের আলসার।
এইচআইভি স্ব-পরীক্ষা একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি যিনি তার এইচআইভি স্ট্যাটাস জানতে চান তিনি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেন এবং ফলাফলগুলি বন্ধুস্থানীয় বিশ্বস্ত কারুর সঙ্গে আলোচনা করেন। এইচআইভি স্ব-পরীক্ষার একটি নির্দিষ্ট এইচআইভি-পজিটিভ নির্ণায়ক প্রদান করে না। এটা একটি প্রাথমিক পরীক্ষা যা পরে আরও স্বাস্থ্যপরীক্ষা প্রয়োজন কি না তা নির্ধারণ করে।