This Article is From Apr 12, 2020

ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে হতে পারে করোনা সংক্রমণ: বিশ্ব ব্যাঙ্ক

বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্টের দাবি, যে সব অঞ্চলে পরিযায়ী শ্রমিকরা বেশি সংখ্যায় রয়েছেন, সেখানে কোভিড-১৯ সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি।

ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে হতে পারে করোনা সংক্রমণ: বিশ্ব ব্যাঙ্ক

রবিবারে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হচ্ছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের আগমনের ফলে বহু রাজ্য ও গ্রামে সংক্রমণ ছড়াতে পারে।

ওয়াশিংটন:

ভিন রাজ্য থেকে ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকরা (Migrant Workers) করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) বাহক হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক (World Bank)। জানিয়েছে, এই শ্রমিকরা আক্রান্ত না হওয়া রাজ্য ও গ্রামে সংক্রমণ ছড়িয়ে দিতে পারেন। একটি দ্বিবার্ষিক আঞ্চলিক রিপোর্টে বিশ্ব ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, দক্ষিণ এশিয়া বিশ্বের অন্যতম জনঘনত্বের স্থান। বিশেষ করে শহরাঞ্চল। সেই কারণে ওখানে সংক্রমণের মোকাবিলা করা কঠিন চ্যালেঞ্জের হতে যাচ্ছে বলে মনে করছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক।

ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, এর ফলে ওই অঞ্চলগুলিকে সহজেই সংক্রমণ ছড়াতে পারে। বিশেষ করে বস্তি এলাকার বাসিন্দা ও পরিযায়ী শ্রমিকদের মাধ্যমে।

ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে আন্তর্রাজ্য ভ্রমণ বন্ধ করে দেওয়ার ফলে সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের পড়তে হয়েছিল প্রবল অসুবিধার মধ্যে। সকলের বাড়ি ফেরার তাড়ায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। 
রবিবারে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হচ্ছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের আগমনের ফলে বহু রাজ্য ও গ্রামে সংক্রমণ ছড়াতে পারে।

তবে দক্ষিণ এশিয়ার একটা সুবিধা হল, এখানে চিন বা আমেরিকার তুলনায় ৬৫ অনূর্ধ্ব মানুষের সংখ্যা কম। ফলে মৃত্যুহার কম হতে পারে।

পাশাপাশি এখানে বড় পরিবারের সংখ্যা বেশি। এভং অন্য দেশের তুলনায় চিকিৎসা সামগ্রীর পরিমাণ কম।

বিশ্ব ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, লকডাউনের ফলে প্রবল সমস্যায় পড়তে হয়েছে লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকদের। এঁদের অধিকাংশই নির্মাণ কর্মী, যাঁরা দৈনিক মজদুরির বিনিময়ে কাজ করেন। লকডাউনের ফলে কাজ ও বাসস্থান দুই-ই হারিয়ে তাঁরা অসহায় হয়ে পড়েন। আর তাই যে করে হোক বাড়ি ফিরতে মরিয়া হয়ে পড়েন।

বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্টের দাবি, যে সব অঞ্চলে পরিযায়ী শ্রমিকরা বেশি সংখ্যায় রয়েছেন, সেখানে কোভিড-১৯ সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি।

পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজেদের রাজ্যে ফেরার প্রবণতাকে আটকানো সম্ভব নয় জানিয়ে বিশ্ব ব্যাঙ্কের আর্জি, ওই শ্রমিকদের লম্বা সফরের সময় প্রাণহানির মতো দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে তা দেখুক সরকার। পাশাপাশি তাঁদের খাবার, জল ইত্যাদি দিয়ে সাহায্য করার আর্জি জানিয়েছে তারা। 



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.