This Article is From Oct 29, 2019

সামরিক বা প্রধানমন্ত্রী মোদির বিমান চলাচলে সহায়তা করতে অপারগ ICAO!

ICAO মুখপাত্র বলেছেন, "আন্তর্জাতিক অসামরিক বিমান চলাচল (শিকাগো কনভেনশন) অনুযায়ী কেবলমাত্র অসামরিক বিমান চলাচলের ক্ষেত্রেই সহায়তা করতে পারে আইসিএও"

সামরিক বা প্রধানমন্ত্রী মোদির বিমান চলাচলে সহায়তা করতে অপারগ ICAO!

সৌদি আরবে যাওয়ার জন্যে পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী Narendra Modi

নয়া দিল্লি:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) বিমানটিকে তাঁদের আকাশসীমা (Pakistan Airspace) ব্য়বহার করে সৌদি আরবে যেতে দিচ্ছে না পাকিস্তান, আন্তর্জাতিক অসামরিক বিমান সংস্থা বা আইসিএওকে ভারতের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ জানানো হলেও মিলল না সুরহা। ওই বিশ্ব সংস্থা জানালো, তাঁরা (International Civil Aviation Organisation/ICAO) একমাত্র অসামরিক বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে। সামরিক বিমান বা কোনও দেশের প্রধানমন্ত্রী বা জাতীয় নেতৃবৃন্দকে বহনকারী বিমানগুলি "রাষ্ট্রীয় বিমান" হিসাবে বিবেচিত হয়, সেগুলির বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে অপারগ তাঁরা। আইসিএওর মুখপাত্র বলেছেন, "শিকাগো কনভেনশন অনুযায়ী আন্তর্জাতিক অসামরিক বিমান চলাচলের ক্ষেত্রেই কোনও দেশের সরকারকে সহযোগিতা করতে পারে আইসিএও, কিন্তু কোনও রাষ্ট্রীয় বা সামরিক বিমানের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপে সক্ষম নয় আন্তর্জাতিক সংস্থাটি", বলেন আইসিএওর মুখপাত্র ।

প্রধানমন্ত্রী মোদির বিমানকে তাঁদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে দিতে অস্বীকার করল পাকিস্তান!

"জাতীয় নেতৃবৃন্দকে বহনকারী বিমানগুলি রাষ্ট্রীয় বিমান হিসাবে বিবেচিত হয় এবং তাই সেগুলি আইসিএওর বিধানের মধ্যে পড়ে না", আরও জানান ওই মুখপাত্র।

আইসিএও হ'ল রাষ্ট্রসংঘের একটি বিশেষ সংস্থা যার প্রধান কাজ হ'ল আন্তর্জাতিক অসামরিক বিমান চলাচল (শিকাগো কনভেনশন অনুযায়ী) সম্পর্কিত বিষয়গুলি পরিচালনা করা ও সেদিকে নজর রাখা।

প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরবের দ্বিপাক্ষিক সফরের আগে নিজেদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে দিতে অস্বীকার করে পাকিস্তান। এরপরেই ভারত আইসিএওর কাছে প্রধানমন্ত্রী মোদির বিমান চলাচলে পাকিস্তানের অসহযোগিতার কথা তুলে ধরে নালিশ ঠোকে।

কর্তারপুর করিডরে তীর্থযাত্রীদের সহজ ‘ক্লিয়ারেন্স' দিতে পদক্ষেপ পাকিস্তানের

সোমবার সৌদি আরব যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদির বিমান  এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ান-এর জন্য পাকিস্তানের কাছে ওভারফ্লাইট ছাড়পত্র চেয়েছিল ভারত, তবে ইসলামাবাদ সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।

সূত্রটি প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়াকে জানিয়েছে যে, ভিভিআইপি বিশেষ বিমানের জন্য ওভারফ্লাইট ছাড়পত্র অস্বীকার করার বিষয়ে পাকিস্তানের সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিরক্ত ভারত, কেননা যে কোনও সাধারণ দেশ এসব ক্ষেত্রে সহজেই অনুমতি দেয়।

পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি এক বিবৃতিতে বলেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান।

সেপ্টেম্বরেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদির বিমানের ওভারফ্লাইট ছাড়পত্র দিতে অস্বীকার করেছিল পাকিস্তান।

এরপরেই ভারতের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক অসামরিক বিমান সংস্থার কাছে ওভারফ্লাইট ছাড়পত্র অস্বীকার করার বিষয়টি জানানো হয়।

"নির্ধারিত আইসিএও নির্দেশিকাগুলি অনুসারে ওভারফ্লাইট অর্থাৎ আকাশসীমা ব্যবহারের ছাড়পত্র চাওয়া হলে অন্যান্য দেশ সেটির অনুমতি দিয়ে থাকে", জানিয়েছে পিটিআই।

.