World Book Day 2019: বিশ্ব বই দিবসের ইতিহাস কী?
বইয়ের থেকে বিশ্বস্ত ও জ্ঞানী বন্ধু আজ অব্দি কেউ পেয়েছেন কিনা এই নিয়ে দুরন্ত তর্কই মানুষের সাধ্যকালীন আড্ডার সম্পদ। বইয়ের নেশা যাঁদের রয়েছে, তাঁদের জন্য বিশেষ দিন আজ। বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে আজ বিশ্ব বই দিবস (World Book Day 2019)। বই আসলে সর্বক্ষণের এবং সমস্ত প্রতিকূলতার মধ্যে নিজের জন্য এক নিশ্চিন্ত ঠিকানা। বইয়ের গন্ধ নেওয়ার দিন ফুরিয়ে আসছে ঠিকই, তবে পড়ার অভ্যাসে এখন কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট বিশ্বের বাসিন্দারা বইয়ের লাইব্রেরি গড়ে তুলেছেন অনলাইনেও। ইউনেস্কো (UNESCO) ১৯৯৫ সালের ২৩ এপ্রিল এই বিশেষ দিন উদযাপন শুরু করে। ১৯২৩ সালে বিখ্যাত লেখক মিগুয়েল ডি সার্ভেন্টিসকে (Miguel de Cervantes) সম্মানিত করেই ঘোষণা করা হয়েছিল যে মিগুয়েলের স্মরণে বিশ্ব বই দিবস (World Book Day 2019) পালন করা হবে। ২৩ এপ্রিল মিগুয়েলের প্রয়াণ দিবস। এরপরেই বিশ্বব্যাপী বিশেষ দিনটিকে উদযাপন করা শুরু হয়।
‘আনন্দিততম শহর' ডেনমার্ক, তার খুশির জিওনকাঠি কী?
বিশ্ব বই দিবস কেন এত বিশেষ?
২৩ এপ্রিল মিগুয়েল ডি সার্ভেন্টিস ছাড়াও লেখক উইলিয়াম শেক্সপিয়রেরও মৃত্যু দিবস। আজ শেক্সপিয়রের ৪০২ তম প্রয়াণদিবস। উল্লেখ্য যে, মিগুয়েল ডি সার্ভেন্টিস এবং উইলিয়াম শেক্সপিয়রের মৃত্যুর একই দিনে ঘটে, অর্থাৎ, ২৩ এপ্রিল ১৬১৬। সাহিত্যের দুই স্তম্ভের লেখালিখি ও জীবন স্মরণেই এই বিশেষ দিনটি পালিত হয়।
এই বছরের থিম কী? (World Book Day 2019 Theme)
ইউনেস্কোর পরিচালক জেনারেল আন্ড্রে অজাউলে জানিয়েছেন, “বইগুলি সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তি প্রকাশের এক রূপ, যা একটি নির্বাচিত ভাষা দ্বারা প্রকাশিত। প্রতিটি প্রকাশ একটি বিশেষ ভাষায় লেখা হয় এবং সেই ভাষা বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য। এইভাবে একটি বই বিশেষ ভাষা এবং সংস্কৃতির অধীনে লেখা হয়, নির্মিত হয়, বিনিময় হয় এবং প্রশংসিত হয়। এই বছর আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোকপাত করতে চাই, কারণ ইউনেস্কোর নেতৃত্বে ২০১৯ সালে স্বদেশী ভাষাগুলিকে আন্তর্জাতিক বছরের প্রেক্ষিতে চিহ্নিত করেছে। যাতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রতিটি সম্প্রদায় নিজস্ব সংস্কৃতি, জ্ঞান এবং অধিকার রক্ষা করতে পারে।"
নদীবক্ষে নৌকায় চেপে প্রিওয়েডিং শ্যুট, এমন সময়....হবু বর বউয়ের কী হল তারপর?
কেন বিশ্বব্যাপী দিবস পালন করা হয় এই বিশেষ দিন?
বিশ্বব্যাপী বই দিবস উদযাপিত হয় বইয়ের গুরুত্ব আরও ব্যপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য। বই আসলে অতীত এবং ভবিষ্যতের এক যোগসূত্র। পাশাপাশি সংস্কৃতির সঙ্গে প্রতি প্রজন্মের একটি সেতুবন্ধনের কাজও করে বই। বিশ্ব বই দিবসের দিনে ইউনেস্কো (UNESCO) ছাড়াও প্রকাশক, বই বিক্রেতাদের এবং লাইব্রেরির মতো প্রতিষ্ঠান মিলে এক বছরের জন্য বিশ্ব বই রাজধানী নির্বাচন করে। ২০১৯ সালের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরশাহির শহর শারজাকে বিশ্ব বই রাজধানী নির্বাচিত করা হয়েছে। ২০২০ সালে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর হবে বইয়ের রাজধানী।
বিশ্ব বই দিবসের মাধ্যমে ইউনেস্কো সৃজনশীলতা, বৈচিত্র্য এবং জ্ঞানের উপর সকলের অধিকারের বিষয়টিকেই উৎসাহিত করে। সকলের কাছে শিক্ষা ওই বই পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে বিশ্বব্যাপী বইপ্রেমী সব মানুষ, বিশেষ করে লেখক, শিক্ষক, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এনজিও এবং গণমাধ্যম একটি মঞ্চ তৈরির চেষ্টা করে মূলত, যাতে শিক্ষার উন্নয়ন ও সাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
Click for more
trending news