গিলু জোসেফ আর ক্রিসি টেইগান তাঁদের ছবির জন্য অনলাইন সমালোচনার মুখে পড়েন
নিউ দিল্লি: বিশ্বজুড়ে চলছে স্তন্যপান সপ্তাহ। খুব স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় ঘটনা হলেও বহুমানুষই এখনও প্রকাশ্যে স্তন্যপানের ঘটনা মেনে নিতে পারেন না। অগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহকে এই সমস্ত মায়েদের জন্যই উৎসর্গ করা হয়েছে যারা সন্তানকে স্তন্যপান করান, একই সাথে শিশুর ক্ষেত্রে বুকের দুধ কতখানি প্রয়োজন এই নিয়েও সচেতনতা চালানো হয় সপ্তাহ জুড়েই। এই বছরের থিম হল "ব্রেস্টফিডিং: ফাউন্ডেশন ফর লাইফ"। গোটা পৃথিবী জুড়েই মায়েরা এগিয়ে আসছেন, এই নিয়ে কথা বলছেন বারেবারে। কারণ জনসমক্ষে স্তন্যপান করাতে গিয়ে বহু মহিলাকেই নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সাম্প্রতিক অতীতেও, বেশ কিছু মায়েরা তাদের শিশুদের স্তন পান করানোর ছবি প্রকাশ্যে এনে বদ্ধমূল ধ্যান ধারণা ভাঙতে চেয়েছিলেন। নিরন্তর সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাঁদের।
বিশ্ব স্তন্যপান সপ্তাহের সম্মানে, দেখে যাক এমনই পাঁচটি ঘটনা যেখানে প্রকাশ্যে স্তন্যপানের বিষয় আসায় কীভাবে সমালোচনার শুরু হয়, কীভাবেই বা সে সবের যোগ্য জবাব দিয়েছেন ওই মায়েরাও।
ক্রিসি টেইগেনঃ নিজের স্তন্যপান করানোর ছবি পোস্ট করে সম্প্রতি সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে মডেল এবং অভিনেতা ক্রিসি টেইগেনকে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে তাঁর একটি শিশুকে একবুকে ধরে স্তন্যপান করাচ্ছেন তিনি, আর অন্যদিকে তাঁর মেয়ে, লুনার খেলার পুতুলটিকেও খেলাচ্ছলে দুধ খাওয়াচ্ছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন মানুষের যেমন প্রশংসা পান ক্রিসি তেমনই বহু মানুষই আবার তার তীব্র সমালোচনাওও করে।এমন ছবি পোস্ট করার যৌক্তিকতা কী এই নিয়ে প্রশ্নও তোলেন অনেকে। তাঁদের সবার জন্য ট্যুইটারে যোগ্য জবাবও দেন ক্রিসি।
এবং এটাও দেখুনঃ
গিলু জোসেফ: মালয়ালম ম্যাগাজিন গৃহলক্ষ্মীর মার্চ মাসে প্রকাশিত এই সংখ্যাটির প্রচ্ছদেও উঠে আসে শিশুকে স্তন্যপান করানোর বিষয়টি। মডেল গিলু জোসেফ একটি শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন – প্রচ্ছদের এই ছবিটি নিয়ে প্রচুর বিতর্কের সৃষ্টি হয় সেই সময়। কেউ কেউ প্রচ্ছদ নিয়েই প্রশ্ন তোলেন কেউ কেউ আবার প্রশ্ন তোলেন, যে মডেল নিজেই মা নয় তাঁর ছবি কেন ব্যবহার করা হবে এমন একটি বিষয়ে? ফেলিক্স এমএ, এক পোশাক নির্মাতা ‘নৈতিকভাবে অপ্রীতিকর’ এমন ছবির বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থও হন। কেরালা হাইকোর্ট অবশ্য এই আবেদনটি খারিজ করে দিয়ে জানায়, তাঁরা এই প্রচ্ছদে কোনও অশ্লীলতা দেখতে পাচ্ছেন না।
ক্রিশ্চিয়ান সেরতোস: ‘দ্য ওয়াকিং ডেড’ খ্যাত এই অভিনেত্রী তাঁর কন্যাকে স্তন্যপান করানোর একটি ছবি ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করেন।
সারা স্টেজ: ইনস্টাগ্রামের বিখ্যাত ফিটনেস গাইড সারার স্তন্যপান করানোর ছবি নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলেছিলেন, তাঁদের উদ্দেশ্যে ইন্সটাগ্রামেই ব্রেস্ট ফিডিং সংক্রান্ত নিজের নানান ছবি পোস্ট করেন সারা। রইল জানুয়ারি মাসের তাঁর একটি পোস্ট।
2015 সালেও তিনি তাঁর সমস্ত সমালোচনাকারীদের উদ্দেশ্যে একটি পোস্ট করেন।
ইক্যুইনক্স: 2016 সালে, ইক্যুইনক্স জিম এবং ফিটনেস সেন্টার একটি বিজ্ঞাপন তৈরি করে ব্রেস্টফিডিং এর বিষয়টি সামনে আনে। ওই বিজ্ঞাপনে দেখা যায় এক মা তাঁর দুই সন্তানকে স্তন্যপান করাচ্ছেন, এই বিজ্ঞাপনের ট্যাগলাইন ছিল ‘কমিট টু সামথিং’। সমাদর এবং সমালোচনা দুইয়েরই শিকার হয় এই বিজ্ঞাপনটি। ইক্যুইনক্স অবশ্য সমালোচনাকারীদের প্রতি উত্তরও দিয়েছে তাঁদের ফেসবুক পেজের মাধ্যমে। একজন মন্তব্য করেছিলেন, "আমার দেখা সবচেয়ে কুরুচিকর বিজ্ঞাপন। লজ্জা হওয়া উচিৎ ইক্যুইনক্স”। ইক্যুইনক্স অবিলম্বে এই সমালোচনার উত্তরে লেখে, “স্তন্যপান (প্রকাশ্যে বা গোপনে) আর ‘কুরুচিকর’ শব্দ দুটো সমার্থক হতেই পারে না” # কমিটটুসামথিং।
সন্তানকে বুকের দুধ খাওানোর বিষয়টি সাধারণের কাছে আরও সহজ এবং স্বাভাবিক করে তোলার জন্য সারা বিশ্ব জুড়েই বহু মায়েরা কাজ করে চলেছেন। সেলিব্রিটি মায়েরাও বারেবারেই তাঁদের বুকের দুধ খাওানোর ছবি জনসমক্ষে এনে বিষয়টি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
Click for more
trending news