हिंदी में पढ़ें Read in English
This Article is From Feb 04, 2020

World Cancer Day 2020: ভারতে সবচেয়ে বেশি প্রকোপ যে ক্যান্সার এবং তাদের প্রভাব

বিশ্বব্যাপী ক্যান্সার সচেতনতা বাড়াতে ৪ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় বিশ্ব ক্যান্সার দিবস (World Cancer Day)

Advertisement
হেলথ Edited by

World Cancer Day 2020: শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গর অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ক্যান্সারের কারণ।

Highlights

  • ফেব্রুয়ারির ৪ তারিখ পালিত হয় বিশ্ব ক্যান্সার দিবস
  • তামাক সেবন বেশির ভাগ ক্যান্সার ও তার থেকে মৃত্যুর কারণ
  • স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাত্রা ক্যান্সার প্রতিরোধী হিসেবে কাজ করে
নয়াদিল্লি/মুম্বই :

বিশ্বব্যাপী ক্যান্সার সচেতনতা বাড়াতে ৪ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় বিশ্ব ক্যান্সার দিবস (World Cancer Day)। এ বছর ২০২০ সালে বিশ্ব ক্যান্সার দিবসের (World Cancer Day 2020 ) থিম- আমরা পারি এবং আমরা পারবো। দেহের কোনও অঙ্গের অস্বাভাবিক ও অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধির জেরে ক্যান্সার হয়। যে কোনও বয়সে, যে কোনও সময়ে এই রোগ থাবা বসাতে পারে। একদম প্রাথমিক স্তরে এই রোগ নির্ণয় না করা গেলে, পরে মারণ আকার ধারণ করে ক্যান্সার বা কর্কট রোগ। বিশ্বে রোগ সংক্রমণে মৃত্যুর নিরিখে ক্যান্সার দ্বিতীয় স্থানে।নয়াদিল্লির প্রবীণ ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ (Senior Oncologist) বিজয় আগাওয়ালের দাবি, "ভারতে সবচেয়ে বেশি প্রকোপ ফুসফুস Lungs, স্তন (Brest), সারভাইকাল আর কলোর‍্যাক্টাল ক্যান্সারের। মানুষের অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা এই জাতীয় ক্যান্সারের প্রকোপ দেশে বাড়াচ্ছে।" ম্যাক্স হেলথ কেয়ারের অন্যতম অধিকর্তা চিকিৎসক মনিকা মহাজন বলেছেন, দেশের যুব সমাজ ও ক্যান্সার ইতিহাস নেই এমন পরিবারে এই রোগের প্রকোপ বেশ উদ্বেগের কারণ। মুলত দূষিত বায়ু ও অপরিমিত আহার, এই রোগকে নানাভাবে স্বাগত জানাচ্ছে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা, খাদ্যাভাসের আমূল পরিবর্তন, প্রসেসড খাবার ও এর জন্য দায়ী। যুব সমাজের মধ্যে অত্যাধিক তামাক ও ড্রাগস সেবন এই রগের অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে। 

সি-ফুড থেকে ছড়ায় Coronavirus? জেনে নিন রোগের মিথ আর ঠিক

চিকিৎসক বিজয় আগরয়াল বলেছেন, মেডিক্যাল সংস্থা ও সরকারি উদ্যোগে এখন ক্যান্সার সচেতনতা বাড়ানো হচ্ছে। রোগের প্রকোপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এই সচেতনতা। মুম্বইয়ের এক ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ তেজিন্দার সিং দাবি করেছেন, মানুষের আয়ু বাড়ার সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমেছে। ফলে বেড়েছে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা। 

Advertisement

কী কী কারণে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে, যে কারণগুলো দিয়েছেন চিকিৎসক সিং:

  • পরিবেশ সংক্রান্ত, যেমন বায়ু দূষণ 
  • ৩০-এর ওপর সন্তান প্রসব, বন্ধ্যাত্ব, মাতৃদুগ্ধ পান না করানো; বাড়াচ্ছে স্তন ক্যান্সার। 
  • তামাক এবং ধূমপান, বাহ্রতে ক্যান্সার প্রকোপের অন্যতম অনুঘটক। 
  • অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস এবং জীবন-যাত্রা

ক্যান্সার প্রতিরোধে, খাদ্যাভাসের পরিবর্তন, বাইরের খাবার কম খাওয়া এবং শরীরে স্থূলতা আনে এমন খাবার নিয়ন্ত্রিত করা ও শরীরচর্চা করে কমানো যেতে পারে ক্যান্সার প্রকোপ। জানিয়েছেন চিকিৎসক সিং। 

৪৩-এও ২৩ Mallika! এত ফিট কী করে?

বিশ্ব ক্যান্সার দিবস ২০২০: গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং ক্যান্সারের রকম 

  1. বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-র তরফে দাবি, ক্যান্সারের এক-তৃতীয়াংশ মৃত্যুর পিছনে মুলত ৫টি কারণ, ব্যবহারগত ও খাদ্যাভাসের ঝুঁকি: স্থূলতা, কম ফলাহার, কম সব্জি সেবন, শারীরিক কসরতের দৈন্যতা, তামাক ও মদ্যপান 
  2. ক্যান্সারে মৃত্যুর মধ্যে ২২% তামাক সেবনের কারণে। অত্যাধিক মাত্রায় মৃত্যুর পিছনে দায়ী এই তামাক সেবন। তামাক. 
  3. প্রতিবছর ফুসফুস, পাকস্থলি, যকৃৎ আর স্তন ক্যান্সারে মৃত্যুর রিপোর্ট নথিভুক্ত হয়।  
  4. কশের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি ক্যান্সারের কারণ। বাহ্যিক কিংবা অভ্যন্তরীণ নানা কারণে এই বৃদ্ধি হয়। অনেক সময় জিনগত কারনেও শারীরিক কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছে। 
  5. গোটা পৃথিবীতে ছ'জন মারা গেলে, তার মধ্যে একজন ক্যান্সার রোগী। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত আয়ের দেশে ৭০% মৃত্যু ক্যান্সারের কারণে। এরকম ১৫ টি দেশের মধ্যে মাত্র একটি দেশে ক্যান্সার দূরীকরণ পদ্ধতি সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল। 

স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাত্রা অনেকক্ষেত্রে ক্যান্সার প্রতিরোধী হিসেবে কাজ করে। ফটো সৌজন্য-- আইস্টক

সময়ের আগে ঋতুচক্র স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। ছবি সৌজন্য-- আইষ্টক

কী করা যেতে পারে?

চিকিৎসক আগরওয়ালের মতে ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করার দুটি উপায়:

Advertisement

1) জীবনযাত্রা সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল হতেই হবে।

2) সঠিক ও পরিমিত খাদ্যভ্যাস তৈরি করতে হবে। 

Advertisement

পাশাপাশি বছরে তিন-চার বার স্বাস্থ্য পরীক্ষা। এইচপিভি টীকার মাধ্যমে প্রাথমিক স্তরে রোগ-নির্ণয়। তামাক ও অ্যালকোহল সেবনে হ্রাস। শরীরের কোনও অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি চোখে পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। ক্যান্সার প্রতিরোধে এই পন্থা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক আগরওয়াল। 

(Dr. Vijay Agarwal, Lead and Senior Consultant - Medical Oncology and Haematology at Aster CMI Hospital)

Advertisement

(Dr Tejinder, Consultant, Medical Oncology, Apollo Hospitals, Navi Mumbai)

বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: এই পরামর্শ ও পদ্ধতি শুধুমাত্র তথ্য প্রদান। এর পিছনে কোনও বিকল্প বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নেই। আরও তথ্যের জন্য বিশেষজ্ঞ কিংবা পারিবারিক চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। এই তথ্যের প্রতি কোনও দায় এনডিটিভি'র নেই। 

Advertisement