This Article is From Jul 17, 2019

আন্তর্জাতিক আদালতে আজ কুলভূষণ যাদব মামলার রায়

ভারতীয় সময় সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ হেগের পিস প্যালেসে রায় দেবেন বিচারপতি আব্দুলকাওয়াই আহমেদ ইউসুফ

ভারতের দাবি কুলভূষণ যাদবকে ইরান থেকে অপহরণ করে পাকিস্তান

নয়া দিল্লি:

দ্য ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস (International Court of Justice) বা আইসিজে-এর হাতেই ঝুলে রয়েছে ভারতের অবসরপ্রাপ্ত নৌসেনা আধিকারিকের ভাগ্য। বুধবার ভারতীয় নাগরিক কুলভূষণ যাদব (Kulbhushan Jadav) মামলায় রায় দেবে আন্তর্জাতিক আদালত। পাকিস্তানের সামরিক আদালতের (Pakistani military court) দণ্ডাদেশের ভিত্তিতে যাদবকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলে ভারত (India) আদালত গুপ্তচরবৃত্তি ও সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে ভারতীয় নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক কুলভূষণ যাদবকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায়। ভারত পাকিস্তানের (Pakistan) এই বিধানের কড়া প্রতিক্রিয়া দেয়।আজ অর্থাৎ বুধবার নেদারল্যান্ডসের হেগের পিস প্যালেসে ভারতীয় সময় সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ ওই রায় ঘোষণা করবেন আন্তর্জাতিক আদালতের প্রধান বিচারক আব্দুলকাওয়াই আহমেদ ইউসুফ। গত সপ্তাহেই, পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ ফয়শাহ জানান, আদালতের রায় সম্বন্ধে আগাম ভবিষ্যৎবাণী করা না গেলেও, তাঁরা তাঁদের সাধ্যমত আন্তর্জাতিক আদালতে লড়াই করেছে।

মেয়রকে নোটিশ পাঠানোর পদ্ধতি নিয়ে হলফনামা চাইল হাইকোর্ট

পাকিস্তান দাবি করে যে ইরান থেকে পাকিস্তানে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ২০১৬ এর ৩ মার্চ বালুচিস্তান প্রদেশ থেকে কুলভূষণ যাদবকে গ্রেফতার করে সে দেশের নিরাপত্তা বাহিনী। ওদিকে ভারতের দাবি হল, নৌসেনা থেকে অবসরের পর ইরানে ব্যবসায়িক কাজে গেছিলেন কুলভূষণ, সেখান থেকেই তাঁকে অপহরণ করা হয়। আইসিজে'র ১০ সদস্যের বেঞ্চ এই মামলার অবসান না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানকে কুলভূষণ যাদবের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে স্থগিতাদেশ দেয়।

এপ্রিল ২০১৭-তে যাদবকে মৃত্যুদণ্ডের বিধান শোনানোর এক মাস পর, ভারত পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক আদালতে টেনে নিয়ে যায় এই বলে যে, ৪৯ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত নৌসেনা আধিকারিককে কনস্যুলার অ্যাক্সেস দিতে অস্বীকার করেছে পাকিস্তান এবং ভিয়েনা চুক্তি (Vienna Convention) লঙ্ঘন করেছে তাঁরা।পাক সামরিক আদালতের ওই "ভ্রান্ত বিচার" প্রক্রিয়া বাতিল করার আবেদন জানায় ভারত। পাকিস্তান ভারতের অভিযোগ অস্বীকার করে জানায় ভারত তাঁদের "গুপ্তচর" দ্বারা খবর সংগ্রহের চেষ্টা করেছিল।

জাতীয় দলের তকমা হারাতে পারে তৃণমূল, সিপিআই, এনসিপি

এই মামলায় ভারতের পক্ষে আইনজীবী হরিশ সালভে পাকিস্তানের সামরিক আদালতের কার্যকলাপ নিয়েও আন্তর্জাতিক আদালতে প্রশ্ন তোলে এবং যাদবকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বাতিল করার জন্য আইসিজে'র প্রতি আহ্বান জানান। অন্যদিকে, পাকিস্তানের আইনজীবী খায়র কুরেশি আন্তর্জাতিক আদালতকে ভারতের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করার অনুরোধ করেন। তবে কুলভূষণ যাদবকে কনস্যুলার অ্যাক্সেস না দিলেও পাকিস্তান ২০১৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর ইসলামাবাদে তাঁর স্ত্রী ও মায়ের সঙ্গে ওই অবসরপ্রাপ্ত নৌসেনা আধিকারিকের সাক্ষাতের সুযোগ করে দেয়। যদিও ভারতীয় আধিকারিকরা বলেন,  এই বৈঠক আসলে কুলভূষণকে গুপ্তচর প্রমাণ করানোর জন্যে পাকিস্তানের একটি মিথ্যে কৌশল ছিল।

.