শরীরে রোগ হলে যতখানি উদ্বিগ্ন হই আমরা, বা যতখানি খোঁজ করেন আমাদের অভিভাবক থেকে শুরু করে বন্ধু সহকর্মীরা, মন খারাপের বেলা তাঁর ২ শতাংশও খোঁজ নেন না কেউ। মন খারাপ জমতে জমতে পাথর থেকে পাহাড় হয়, একসময় ভার লঘু করতে চেয়ে অনেকেই চিরমুক্তির পথ বেছে নেন। মনের অসুখের কথা জানতে, মনের শরীর ভালো রাখতে সচেতনতা বাড়াতে তাই প্রতি বছর ১০ অক্টোবর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস (World Mental Health Day) পালন করা হয়। বিশ্বজুড়ে মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের সমর্থনে প্রচেষ্টা চালানোর জন্য পালন করা হয় এই বিশেষ দিনটি। ১৯৯২ সালে প্রথম উদযাপিত হয় বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। সেবার অবশ্য এই দিবসটির কোনও থিম ছিল না। ১৯৯৪ সাল থেকে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের থিম শুরু হয়। প্রথম থিমটি ছিল “বিশ্বজুড়ে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার মানবৃদ্ধি, আর এবছর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের (World Mental Health Day) প্রতিপাদ্য বিষয় হল “আত্মহত্যা প্রতিরোধ” (Suicide Prevention)। বেশ কিছুদিন আগেই আত্মহত্যার প্রতিরোধে সরব হয়েছিলেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। নিজের হাতে অজস্র ক্ষতচিহ্নের ছবি শেয়ার করে বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবসে তিনি লিখেছিলেন, “প্রতিটা দাগের অজস্র গল্প রয়েছে, বিষণ্ণতা, উদ্বেগ, অস্থিরতা, আত্মহত্যার চেষ্টা, কিন্তু এর ভেতরে থাকা বার্তাগুলোকে কখনও পাত্তাই দেওয়া হয় না....”
৩০০০ মার্কিন ডলারে বিকোল 'যিশুখ্রিষ্টের জুতো'! জানেন কী বিশেষ বৈশিষ্ট্য এই জুতোর?
দেখুন স্বস্তিকার সেই পোস্ট;
বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বারা সমর্থিত। স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, “প্রতি ৪০ সেকেন্ডে কেউ আত্মহত্যা করে প্রাণ হারাচ্ছে।” আত্মহত্যা ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী মানুষের মধ্যে মৃত্যুর প্রধান কারণ বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। “৪০ সেকেন্ডের পদক্ষেপ” নামের বিভিন্ন ভিডিও ক্লিপের মাধ্যমে, কীভাবে জরুরি কর্মীরা, স্বাস্থ্যকর্মী, শিক্ষক এবং নিয়োগকারীরা আত্মহত্যা প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে সেদিকে দৃষ্টিপাত করার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
Durga Puja 2019: দুর্গা কে? স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের চোখে?
আত্মহত্যা অবশ্যই প্রতিরোধযোগ্য। ব্যক্তিগত, সমষ্টিগত এবং জাতীয় পর্যায়ে আত্মহত্যা প্রতিরোধে অনেক কিছুই করা যেতে পারে। সমস্ত বিভাগ কীভাবে আত্মহত্যা প্রতিরোধে অবদান রাখতে পারে তা এখানে দেখে নিন।
বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস: শিক্ষকরা কীভাবে আত্মহত্যা প্রতিরোধে হস্তক্ষেপ করতে পারেন
বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস: কীভাবে পরিচালক, নিয়োগকারী, কর্মচারীরা আত্মহত্যা প্রতিরোধে হস্তক্ষেপ করতে পারেন
আত্মহত্যা এবং আত্মহত্যার চেষ্টার সরাসরি প্রভাব পড়ে পরিবার, বন্ধু, সহকর্মীদের উপর। শুধু তাই নয় নিজ সম্প্রদায় এবং সমাজেও গভীর প্রভাব ফেলে আত্মহত্যা। সঠিক সময়ে বিষাদ ও বিষণ্ণতা বা মানসিক চাপ ও আত্মহত্যার প্রবণতার লক্ষণগুলি ধরতে পারার উদ্দেশে কাজ চলছে বিশ্বজুড়ে এবং বিশ্বজুড়েই তাই আত্মহত্যা প্রতিরোধে সহায়তা করার আহ্বান উঠছে।