এরকম বেশ কয়েকটি ছবি তুলেছেন ইতালির চিত্রগ্রাহক আলেসিও মামো
লন্ডন: টেবিলে সাজানো হরেক ‘খাবার’। পাশে হাত দিয়ে চোখ ঢেকে দাঁড়িয়ে রয়েছেন কিছু মানুষ। না এটা বাস্তবের কোনও ঘটনা নয়। এটা হচ্ছে ছবি। আর খাবারগুলোও আসল নয়। এরকম বেশ কয়েকটি ছবি তুলেছেন ইতালির চিত্রগ্রাহক আলেসিও মামো। 2011 সালে মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে এই ছবি গুলি তোলা হয়েছে।
প্রতিটি ছবিতে এভাবেই ভারতের অর্থ -সামাজিক পরিস্থিতি বোঝাতে চেয়েছেন তিনি। হয়তো বা বলতে চেয়েছেন টাকা না থাকলে খাবার সামনে থাকলেও কিছুই করার থাকে না। থাকতে হয় চোখ বুঝেই। ওয়ার্ল্ড প্রেস ফাউন্ডেশন ছবিটি ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করে। কিন্তু দর্শকদের সেটি একদম ভাল লাগেনি। উল্টে কারও কারও মনে হয়েছে দারিদ্র্যকে নিয়ে তামাশা করেছেন চিত্রগ্রাহক। বিতর্ক বাড়তেই অবশ্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন মামো। তবে তাঁর দাবি ভারতকে বা এদেশের মানুষকে অস্মমান করতে তিনি কিছু করেননি। পশ্চিম দুনিয়ার বহু মানুষ খাবার নষ্ট করেন। সেই প্রবণতা যাতে কমানো যায় তার জন্যই এমন ছবি তুলেছেন। বোঝাতে চেয়েছিলেন এমন অনেক মানুষ আছেন যাঁদের দুবেলা দুমুঠো খাবার জোটে না।
কিন্তু সেই যুক্তি মানতে নারাজ নেট দুনিয়া। উল্টে প্রশ্ন উঠছে এমন ছবি তুলে কী প্রমাণ করতে চেয়েছেন পরিচালক? এক ব্যক্তির দাবি এটা করে গরিব মানুষের সামান্য সম্মানটুকুও হরণ করা হয়েছে। কারও আবার মনে হয়েছে এরকম ছবি না তুলে গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ালে অনেক বেশি কাজ হয়।
বিতর্ক বাড়তে থাকায় মঙ্গলবার ক্ষমা চেয়ে চিত্রগ্রাহক বলেছন, ‘ আমার কাজের পদ্ধতিতে ভুল থাকতে পারে। কিন্তু আমি সততার সঙ্গে গোটা ব্যাপারটা করতে চেয়েছিলাম। চেয়েছিলাম এ ব্যাপারে ভাবনা চিন্তা হোক। ছবি পোস্ট ঘিরেও বিতর্ক হয়েছে বিস্তর। অনেকেই বলছেন ওয়ার্ল্ড প্রেস ফাউন্ডেশন এমন একটা ছবি পোস্ট করল কেন? তবে দায় নিতে চায়নি ফাউন্ডেশন। তাদের দাবি কোন ছবিটি পোস্ট করা হবে সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিত্রগ্রাহকই।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)