Read in English
This Article is From Mar 25, 2019

নেই খাবার, নেই জল-পুষ্টি-শিক্ষা তবু স্বপ্নচাষ করছেন বিশ্বের সেরা এই শিক্ষক

এই স্কুলে পড়ুয়া শিক্ষক অনুপাত ৫৮ঃ১। খুবই খারাপ ইন্টারনেট সংযোগসহ একটিই মাত্র ডেস্কটপ কম্পিউটার রয়েছে।

Advertisement
ওয়ার্ল্ড

গ্লোবাল টিচার সম্মান (Global Teacher Prize) পেলন শিক্ষক পিটার তাবিচি (Peter Tabichi)

দুবাই :

কেনিয়ার গ্রস্ত উপত্যকায় খরা আর দুর্ভিক্ষের মাঝে স্বপ্নচাষ করছেন এক শিক্ষক। প্রত্যন্ত এই এক গ্রামের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সমস্ত প্রতিকূলতার মধ্যে তবু কচিকাঁচাদের পড়াচ্ছেন এই শিক্ষক, করে তুলছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা। গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানের এই শিক্ষক গ্লোবাল শিক্ষকের পুরস্কার (Global Teacher Prize for 2019) জিতেছেন এইবছর। সূত্রের খবর, শিক্ষক পিটার তাবিচি (Peter Tabichi) তাঁর আয়ের ৮০ শতাংশই দরিদ্রদের দিয়ে দেন। শনিবার দুপুরে হলিউড তারকা হাগ জ্যাকম্যান সঞ্চালিত ওই অনুষ্ঠানে তাঁকে বিশেষ সম্মান জানানো হয়।

তাবিচি বলেন, “প্রতিদিন আফ্রিকায় আমরা একটি নতুন পাতা উল্টাই এবং একটি করে নতুন অধ্যায় শুরু করি... এই পুরস্কারটি শুধু আমাকেই স্বীকৃতি দেয় না, এই মহান মহাদেশের তরুণদেরও স্বীকৃতি দেয়। আমার শিক্ষার্থীরা যা অর্জন করেছে তার কারণেই আমি আজ এখানে রয়েছি।" সারা বিশ্ব থেকে এই পুরস্কারের নয়জন চূড়ান্ত দাবিদারকে পরাজিত করার পরে তিনি আরও বলেন, “এই পুরস্কারটি তাঁদেরকে একটি সুযোগ দিয়েছে। এই পুরস্কার বিশ্বকে জানান দেয় যে এরাও কিছু করতে পারে।” 

‘বন্দুকবাজের হানা'র আতঙ্কে ছোটাছুটি, ডিজনিল্যান্ডে পদপিষ্ট বহু

Advertisement

দুবাইয়ের ভার্কে ফাউন্ডেশন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। তাঁদের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “জাতীয় বিজ্ঞান প্রতিযোগিতায় দেশের সেরা বিদ্যালয় হয়ে উঠেছে কেনিয়ার গ্রামীণ প্রত্যন্ত অঞ্চলের এই স্কুল। সামান্য ক্ষমতা, অপ্রতুলতা আর বহু না পাওয়াকে নিয়েও তাবিচির নেতৃত্বে বিজয়ী হয়েছে তাঁরা। খরা ও দুর্ভিক্ষ কবলিত কেনিয়ার গ্রস্ত উপত্যকায় একটি প্রত্যন্ত অর্ধ-শুষ্ক এলাকায় পাবানি গ্রামের কেরিকো মিক্সড সেকেন্ডারি স্কুলে (Keriko Mixed Day Secondary School) ৩৬ বছর বয়সী শিক্ষক তাবিচি তবু নতুন জীবনের পাঠ শেখান রোজ।

ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, প্রায় ৯৫ শতাংশ স্কুল ছাত্রছাত্রীরা দরিদ্রতম পরিবার থেকেই আসে। তাঁদের প্রায় এক তৃতীয়াংশই অনাথ বা হয় কেবল বাবা রয়েছেন, বা মা এবং অনেকে বাড়িতে খাবার খেতেই পায় না। মাদকাসক্তি, অল্প বয়সে গর্ভধারণ, স্কুলছুট হয়ে যাওয়া, বাল্যবিবাহ এবং আত্মহত্যা এঁদের সাধারণ সমস্যা। স্কুলে যাওয়ার জন্য বেশ কয়েকজন পড়ুয়কে প্রায় ৭ কিলোমিটার হেঁটে যেতে হয়, বর্ষার সময় সেটাও সম্ভব হয় না।

Advertisement

আফ্রিকার সাইক্লোনে মৃতের সংখ্যা ৭০০ ছাড়ল, আরও অবনতির আশঙ্কা রাষ্ট্রসঙ্ঘের

এই স্কুলে পড়ুয়া শিক্ষক অনুপাত ৫৮ঃ১। খুবই খারাপ ইন্টারনেট সংযোগসহ একটিই মাত্র ডেস্কটপ কম্পিউটার রয়েছে। তাও তাবিচি শিক্ষার্থীদের স্কুলে ধরে রাখতে তাঁর শিক্ষণের ৮০ শতাংশই ওই কম্পিউটার ব্যবহার করে পড়ান।

Advertisement

কেনিয়ার রাষ্ট্রপতি উহুরু কেনয়াত্তা (Kenyan President Uhuru Kenyatta) একটি ভিডিও বার্তাতে তাবিচিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, “আপনার গল্প সমগ্র আফ্রিকার গল্প। আমাদের আফ্রিকা, বহু প্রতিভার আঁতুড়ঘর এই নবীন মহাদেশ।”



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
Advertisement