আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই রেল লাইন দিয়ে ভারতের বাকি অংশের সঙ্গে জুড়ে ফেলা হবে কাশ্মীরকে। রেলপথের মাধ্যমে ভারতের বাকি অংশের সঙ্গে ভূস্বর্গকে জুড়তে কেন্দ্র সরকার বিশ্বের সর্বোচ্চ রেল সেতুর কাজ শেষ করতে চলেছে শীঘ্রই। আইফেল টাওয়ারের (Eiffel Tower) থেকেও এই রেললাইনটি ৩৫ মিটার দীর্ঘ হবে বলেই আশা করা হচ্ছে। কোঙ্কন রেলওয়ে (Konkan Railway) জানিয়েছে যে এটি ভারতীয় রেলের স্বাধীনতা পরবর্তী ইতিহাসে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং প্রকল্প।
“এটি রেলপথের ১৫০ বছরের দীর্ঘ ইতিহাসে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজ। কাশ্মীরকে রেল লাইনের মাধ্যমে দেশের অন্যান্য অংশের সাথে সংযুক্ত করে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেল সেতুর কাজটি ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে,” বুধবার রাতে জম্মুতে সাংবাদিকদের এমনইই জানান কোঙ্কন রেলওয়ের চেয়ারম্যান সঞ্জয় গুপ্ত।
১২ ঘণ্টা দেরিতে ট্রেন, দ্রুত বৃদ্ধা মায়ের সঙ্গে ছেলের যোগাযোগ করিয়ে দিল ভারতীয় রেল!
সঞ্জয় গুপ্ত বলেন, “সেতুটির নির্মাণ কাজ স্বাধীনতা পরবর্তী কাশ্মীর রেল সংযোগ প্রকল্পের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং অংশ এবং এটি শেষ হলে এটি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের একটি দুরন্ত কাজ হবে।”
প্রতিকূল ভূখণ্ডে তৈরি করা হচ্ছে বিশাল খিলান আকৃতির কাঠামো। এই খিলান তৈরিতে নদীর উপর ৩৫৯ মিটার উচ্চতায় ৫,৪৬২ টন স্টিল ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
প্রতি ঘণ্টায় ২৬০ কিলোমিটার বেগে বাতাসের গতি সহ্য করার জন্য তৈরি, ১.৩১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘ইঞ্জিনিয়ারিং মার্ভেল' বাক্কাল (কাটরা) এবং কৌরীকে (শ্রীনগর) সংযুক্ত করবে।
পরিষ্কার বাতাসে শ্বাস নিতে চান? 'অক্সিজেন পার্লার' গড়ে অভিনব উদ্যোগ এই রেল স্টেশনে
উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুল্লা রেল সংযোগ প্রকল্পের অংশ কাটরা ও বানিহালের মধ্যে ১১১ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে এই ব্রিজটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ স্থাপন করেছে। এই সেতুর কাজ শেষ হলে এটি চিনের বেইপান নদীর শুইবাই রেলওয়ে ব্রিজের (২৭৫ মিটার) রেকর্ডকেও ছাপিয়ে যাবে।
সঞ্জয় গুপ্ত জানিয়েছেন, উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুল্লা রেল সংযোগ প্রকল্পটি জম্মু ও কাশ্মীরকে একটি বিকল্প এবং একটি নির্ভরযোগ্য পরিবহন ব্যবস্থা দেওয়ার ক্ষেত্রে ও কাশ্মীর উপত্যকাকে ভারতীয় রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
তিনি আরও যোগ করেছেন যে, জম্মু ও কাশ্মীরে সমস্যা মুক্ত যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই প্রকল্পের গুরুত্ব বিবেচনা করে ২০০২ সালে প্রকল্পটিকে জাতীয় প্রকল্প হিসাবে ঘোষণা করা হয়।