Read in English
This Article is From Feb 22, 2019

বিশ্বের বৃহত্তম মৌমাছি ‘উড়ন্ত বুলডগ’ পুনরাবিষ্কৃত ইন্দোনেশিয়াতে

উত্তর মোলুক্কাসের ইন্দোনেশিয়ান দ্বীপ অঞ্চলের বাসিন্দা এই মৌমাছির পুরো নাম মেগাচাইল প্লুটো (Megachile pluto) তার বিশাল শুঁড় দিয়ে ছত্রাক থেকে বাসাকে রক্ষা করার জন্য চটচটে রেজিন সংগ্রহ করে।

Advertisement
ওয়ার্ল্ড

এই দৈত্যাকার মৌমাছির (Megachile pluto) আকার মানুষের বুড়ো আঙুলের সমান

প্যারিস :

ইন্দোনেশিয়ার একটি দূরবর্তী অংশে প্রথম দেখার প্রায় ৪০ বছর পরে পুনরাবিষ্কৃত হল বিশ্বের সবচেয়ে বড় মৌমাছি। দৈত্যাকার এই মৌমাছি সাধারণত ‘উড়ন্ত বুলডগ' নামেই পরিচিত, এর আকার প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের বুড়ো আঙুলের মতো। বিশ্ব বন্যপ্রাণি সংরক্ষণে বলা হয়েছে, ১৯ শতকে ব্রিটিশ প্রকৃতিবিদ অ্যালফ্রেড রাসেল ওয়ালেস (British naturalist Alfred Russel Wallace) এই দৈত্যাকার মৌমাছিটি আবিষ্কার করেন এবং নাম দেন ‘উড়ন্ত বুলডগ' (flying bulldog)। মৌমাছি ফটোগ্রাফার বিশেষজ্ঞ ক্লে বোল্ট যিনি এই বিশাল মৌমাছির ছবি তোলেন, বলেন, “জীবন্ত এই বিশাল মৌমাছি আদতে কতটা সুন্দর, এর বিশাল ডানার আওয়াজ কতটা অসাধারণ সেসব প্রত্যক্ষ করতে পারাটাই দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা।” 

যদি আপনি ব্যর্থ হন... প্রধানমন্ত্রীকে কেন এমন কথা বলল সুইডেনের এই নাবালিকা

 

Advertisement

উত্তর মোলুক্কাসের ইন্দোনেশিয়ান দ্বীপ অঞ্চলের বাসিন্দা এই মৌমাছির পুরো নাম মেগাচাইল প্লুটো (Megachile pluto) তার বিশাল শুঁড় দিয়ে ছত্রাক থেকে বাসাকে রক্ষা করার জন্য চটচটে রেজিন সংগ্রহ করে। আইইউসিএন-এর লাল তালিকায় এই মৌমাছিকে ‘বিপন্ন' হিসাবেই রাখা হয়েছে। এই মৌমাছি সংখ্যায় নেহাত কম না হলেও এঁদের এমন প্রান্তিক দুর্গম অঞ্চলে পাওয়া যায় যে সেখানে পৌঁছে গবেষণা বা দেখভাল করাই কঠিন। এসব অঞ্চলে বেশ কয়েকটি পূর্ববর্তী অভিযান এই মৌমাছি খুঁজে পেতে ব্যর্থই হয়েছে। 

মারা গেলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ‘চুম্বনরত নাবিক', বিখ্যাত এই ছবির পিছনে গল্প জানেন কি?

Advertisement

ইন্দোনেশিয়া প্রচুর পরিমাণে উদ্ভিদ এবং প্রাণির আবাসস্থল। কিন্তু কৃষির জন্য যে পরিমাণে জমি কাটা হচ্ছে তাতে অনেক প্রজাতির প্রাণি ও কীটপতঙ্গ সম্প্রদায়ের প্রাকৃতিক আবাস চিরতরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্টোমোলোজিস্ট এলি ওয়াইম্যান বলেন, “আমি আশা করি এই পুনরাবিষ্কার ভবিষ্যতের গবেষণাকে সমৃদ্ধ করবে যা আমাদের এই অনন্য মৌমাছিটির ইতিহাস সম্পর্কে আরও গভীরভাবে জানতে সাহায্য করবে এবং বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ভবিষ্যৎ প্রচেষ্টাকেও সমৃদ্ধ করবে।”



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
Advertisement