This Article is From Sep 24, 2019

সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্ট, কড়া নির্দেশিকার প্রস্তাব

হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp ) ও ফেসবুকে (Facebook) ছড়িয়ে পড়ছে ফেক মেসেজ। এবিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ সুপ্রিম কোর্টের।

সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্ট, কড়া নির্দেশিকার প্রস্তাব

সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্ট।

New Delhi:

হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp ) ও ফেসবুকে (Facebook) ছড়িয়ে পড়ছে ফেক মেসেজ। এবিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) কেন্দ্রকে তিন সপ্তাহ সময় দিল। জানিয়ে দিল এর মধ্যে ‘‘দেশের সার্বভৌম ক্ষমতা, ব্যক্তির গোপনীয়তা ও বেআইনি কার্যকলাপ'' রক্ষায় সুপারিশ করতে। বিচারপতি দীপক গুপ্তের নেতৃত্বে দুই সদস্যের বেঞ্চ মঙ্গলবার জানিয়ে দেয়, ‘‘মূল হোতাকে (ফেক মেসেজের) অবশ্যই ধরতে হবে। একই সঙ্গে দেশের সার্বভৌম ক্ষমতা এবং ব্যক্তির গোপনীয়তাও রক্ষা করতে হবে। আমরা বা হাইকোর্ট সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। এটা সরকারের ব্যাপার, কোনও নীতি নিয়ে আসা।'' তিন দিন আগে সরকারের কাছে এই বেঞ্চ জানতে চেয়েছিল‌, ব্যক্তির সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার অ্যাকাউন্ট যুক্ত করা যায় কিনা।

এদিন আদালত পরিষ্কার জানিয়ে দেয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে আধার লিঙ্ক করাটা ইস্যু নয়। আসল লক্ষ্য জাল খবর ও বার্তা ছড়ানোর মূল হোতার সন্ধান।

“এই ধরণের সাংবাদিক আপনি কোথায় পাবেন”?: ইমরান খানকে বললেন ট্রাম্প

বিচারপতি দীপক গুপ্ত জানান, ‘‘এটা ভয়ঙ্কর ব্যাপার টেকনোলজি যেদিকে চলেছে। শেষবার শুনানির পরে আমি গবেষণা করে দেখি আমি চাইলেই একে-৪৭ কিনতে পারি ডার্ক ওয়েব থেকে আধঘণ্টার মধ্যে। আমি একজনকে বলছিলাম আমি আমার স্মার্টফোন ত্যাগ করতে চাই।''

শীর্ষ আদালত জানায়, দেশে এখন বৈজ্ঞানিক মগজের প্রাবল্য। যদি সেগুলি জোড়ার টেকনোলজি থেকে থাকে, ভাঙারও নিশ্চয়ই আছে।

সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার সংযুক্ত করার বিষয়ে সলিসিটর-জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, সরকার এই নিয়ে এখনও চিন্তাভাবনা করছে। তবে এখনও কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি।

ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপের তরফে মামলার স্থানান্তর নিয়ে পিটিশন ফাইল করার পর তার শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে। জানানো হয়, সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে আধারের সংযোগের দাবি মাদ্রাজ, বম্বে ও মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে রয়েছে।

তাদের দাবি, এটি জাতীয় সুরক্ষার বিষয় এবং তাই এটি শীর্ষ আদালতেরই বিচার্য বিষয়।

তামিলনাডু সরকার স্থানান্তের বিরুদ্ধে। তাদের দাবি, ফেসবুক ভারতীয় আইন অনুসারী নয়। এর ফলে অপরাধীকে সনাক্ত করা কঠিন হয়ে উঠছে।

গত বছরও হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে বিবেচন‌া করেছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এক আধিকারিক NDTV-কে জানান, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ফোন ও বার্তা চালাচালি করা জাতীয়তা-বিরোধী গোষ্ঠীর হাতিয়ার হয়ে উঠছে। এবং সেটা ধরা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, তাঁরা চান এমন এত নীতি, যার ফলে এটি জাতীয় সুরক্ষার মধ্যে পড়বে।

এর আগেও কেন্দ্র হোয়াটসঅ্যাপের বিরুদ্ধে মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল।

(তথ্য সহায়তা: এএনআই)

দেখুন ভিডিও

.