Wuhan Virus: কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে এক পর্যটককে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। (এএফপি)
নয়াদিল্লি: চিন (China) থেকে ছড়িয়ে পড়া নতুন উহান ভাইরাস (Wuhan Virus) ঘিরে ক্রমেই ছড়াচ্ছে আতঙ্ক। সার্স ভাইরাসের মতো এই ভাইরাসের কবলে এরই মধ্যে পড়তে হয়েছে প্রায় ৩০০ জনকে। ভারতও এই অসুখের বিষয়ে উদ্বিগ্ন ও সতর্ক। দেশের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরে চিন থেকে আসা সমস্ত ব্যক্তিদের পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। স্বাস্থ ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে অসামরিক বিমান মন্ত্রকের কাছে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে। চিনের উহান শহরে প্রথম এই ভাইরাসের খোঁজ মেলে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, দেশের বিমানবন্দরগুলিতে ‘থার্মাল ক্যামেরা' বসানো হয়েছে। ওই ক্যামেরার সাহায্যে চিন থেকে কেউ এলে তাঁকে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
করোনা ভাইরাস অরফে উহান ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে আরও চিনটি দেশে— দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও থাইল্যান্ড। সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে তেমনটাই জানা যাচ্ছে। চিন সরকারের এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, এই অসুখ সংক্রামক।
এই ভাইরাস ঘিরে উদ্বেগের অন্যতম কারণ এটির সঙ্গে সার্স ভাইরাসের সংযোগ মিলেছে। ২০০২-০৩ সালে সার্স ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন চিন ও হংকংয়ের প্রায় ৬৫০ জন ব্যক্তি। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে এই অসুখের সূত্র কোনও পশুর শরীর।
উহানের এক সি-ফুড বাজার থেকেই এই ভাইরাস প্রথম ছড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত সপ্তাহে ভারত একটি পর্যটন সতর্কতা জারি করে। চিনে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা নেওয়ার কথা বলা হয় ওই সতর্কতায়। স্বাস্থ্য মন্ত্রক বিদেশ মন্ত্রকের কাছ থেকে ভারতীয় ভিসার জন্য ৩১ ডিসেম্বরের পর থেকে আবেদন কারা আবেদন করেছেন তার তালিকা চেয়েছেন। উদ্দেশ্য ওই তালিকা ধরে সেই ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে রাখা।
মঙ্গলবার চিনের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ২৯১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু তাঁরা উহানের বাসিন্দা, নাকি অন্য কোনও প্রদেশের বাসিন্দা, তা বলা হয়নি। তবে এর মধ্যে পাঁচজন বেজিং, ১৪ জন দক্ষিণ প্রদেশের গুয়ানডং অঞ্চল এবং দু'জন সাংহাইয়ের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে কমিশন।
(তথ্যসূত্র: এএফপি, রয়টার্স, পিটিআই ও এএনআই)
দেখুন করোনা ভাইরাস সম্পর্কে বিশেষজ্ঞের মতামত: