লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যেই এই নির্দেশ দিলেন শি জিনপিং।
বেজিং: চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং (Chinese President Xi Jinping) মঙ্গলবার চিনের সেনাকে যুদ্ধপ্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছেন। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি দৃশ্যমান জানিয়ে তাদের দৃঢ়ভাবে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। যদিও তিনি কোনও বিশেষ দেশ বা প্রতিপক্ষের নাম করেননি, কিন্তু প্রকৃত সীমান্তরেখায় ভারত ও চিনের মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যেই এমন মন্তব্য করেছেন তিনি। ৬৬ বছরের এই রাষ্ট্রনায়ক বেজিংয়ে চলতে থাকা সংসদীয় অধিবেশনের সময় ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি' ও ‘পিপলস আর্মড পুলিশ ফোর্স'-এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে এই মন্তব্য করেন।
দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও যে কোনও জটিল পরিস্থিতিকে সঠিক ভাবে মোকাবিলা করার জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছেন চিনা সেনাকে। সেদেশের ‘জিনহুয়া নিউজ এজেন্সি'-র প্রতিবেদন থেকে একথা জানা গিয়েছে। তবে তিনি চিনের জন্য বিপজ্জনক হয়ে ওঠা কোনও বিশেষ ইস্যুর কথা উল্লেখ করেননি।
গত কয়েক দিন ধরেই লাদাখ ও উত্তর সিকিমের প্রকৃত সীমান্তরেখায় ভারত ও চিনের সেনা প্রভূত ভাবে মোতায়েন হয়েছে। আর এর ফলে উত্তেজনার পারদ ক্রমশই চড়ছে।
তবে শুধু ভারত নয়— মার্কিন সেনার সঙ্গেও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে চিনের সেনাবাহিনীর। মার্কিন নৌবাহিনীকে বিতর্কিত দক্ষিণ চিন সাগরে টহল দিতে দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি করোনা সংক্রমণকে কেন্দ্র করেও উত্তপ্ত বাদানুবাদ হয়েছে চিন ও আমেরিকার।
এদিকে কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, সীমান্তরেখায় তৎপর রয়েছে ভারত। তাদের দাবি, ভারত বরাবরই সীমান্তের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। একই সঙ্গে এও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভারত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
৫ মে ২৫০ চিনা সেনা ও ভারতীয় সেনার মধ্যে সংঘর্ষের পর থেকেই পূর্ব লাদাখের পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হয়েছে। ওইদিন ভারতীয় ও চিনা সেনা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল লোহার রড, লাঠি নিয়ে। এমনকী পাথর ছোড়াও হয়েছিল। জখম হয়েছিলেন উভয়পক্ষের সেনারাই।
(তথ্যসূত্র: পিটিআই)