যশোবন্ত সিনহা বলেন, “গরীব মানুষের ভোগান্তি নিয়ে অন্ধ ও বধির হয়ে গিয়েছে সরকার”। (ফাইল)
নয়াদিল্লি: পরিযায়ী শ্রমিক (Migrant Labourers) এবং গরীব মানুষের পরিস্থিতি তুলে ধরতে রাস্তায় নামা উচিত বিরোধী দলগুলির, কারণ, তাঁদের ভোগান্তি নিয়ে “অন্ধ ও বধির” হয়ে গিয়েছে সরকার, শনিবার সকালে টুইটারে এমনটাই লিখলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশোবন্ত সিনহা (Yashwant Sinha) । প্রাক্তন এই বিজেপি নেতা বলেন, “সমালোচনা করা এবং বিবৃতি দেওয়া” দেশের আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষের উন্নতিতে সাহায্য করবে না। একদিন আগেই সনিয়া ২২টি বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন সনিয়া গান্ধি, সেখানে করোনা ভাইরাসের (COVID-19 Outbreak) মোকাবিলায় সরকারের পদক্ষেপ, পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হওয়ার পাশাপাশি একগুচ্ছ দাবি তোলা হয়।
নরেন্দ্র মোদি সরকারের অন্যতম সমালোচক হিসেবে পরিচিত যশোবন্ত সিনহা বলেন, “সরকারের সমালোচনা না করে বিরোদী দলগুলির উচিত রাস্তায় নামা, গরীব মানুষের ভোগান্তি নিয়ে অন্ধ ও বধির হয়ে গিয়েছে সরকার। বিবৃতি দিয়ে আর সমস্যার সমাধান হবে না”।
চলতি সপ্তাহে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে সশ্বস্ত্র বাহিনী নামানোর দাবিতে ধরনা দিয়ে রাজঘাটে দিল্লি পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন যশোবন্ত সিনহা।
করোনা ভাইরাস লকডাউনের কারণে ব্যপক সমস্যায় পড়েন লক্ষাধিক পরিযায়ী শ্রমিক এবং দৈনিক মজুর ও গরীব মানুষরা, লকডাউনের ফলে কর্মহারা হয়েছেন তাঁরা, মেলেনি খাবার, অর্থ বা আশ্রয়।
গণপরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ হওয়ায় সমস্যা আরও বাড়ে, হেঁটেই বাড়ির পথে রওনা দেন তাঁরা, রাস্তাতেই অনেকের মৃত্যু হয়।
ব্যাপক সমালোচনার মুখে, পরিযায়ী শ্রমিকদের খাবার দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের ঘরে ফেরাতে বিশেষ ট্রেন চালু করে সরকার, তবে ট্রেন দেরী করা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতির অভিযোগ তুলে অনেকে আবারও হেঁটে বাড়ি ফেরার চেষ্টায়।
পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্যের জন্য আওয়াজ তোলা নেতাদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি।
যশোবন্ত সিনহার মতোই, চলতি সপ্তাহে পথে নামেন রাহুল গান্ধি, দিল্লির সুখদেব বিহার উড়ালপুলের কাছে পরিযায়ীদের সঙ্গে কথা জন্য থামেন, পরিযায়ী শঅরমিকদের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনকে “নাটক” বলে মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
চলতি সপ্তাহে NDTV তে লেখায়, সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতিকে অবহেলা করার অভিযোগ তুলে, ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক উদ্দীপনা জোগানকে “ত্রুটিপূর্ণ, ভুয়ো” বলে মন্তব্য করেন যশোবন্ত সিনহা।
যশোবন্ত সিনহা লেখেন, “অর্থমন্ত্রী এতটাই হৃদয়হীন, প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম নেননি, এবং দ্বিতীয়বার যখন তাঁদের জন্য সামান্য কিছু সাহায্যের ঘোষণা করলেন, তখন পথ দুর্ঘটনা, ট্রেন দুর্ঘটনা, বা গন্তব্যে পৌঁছাতে না পেরে পথেই মৃত্যু হয়েছে, এমন শ্রমিকদের প্রতি শোকজ্ঞাপন করলেন না”।
তিনি আরও লেখেন, “তাঁদের ভোগান্তি হৃদয়বিদারক, তাঁদের বেদনা অসহ্য, এবং তাঁদের প্রতিজ্ঞা অপ্রত্যাশিত”।