রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও গান্ধিজিকে নিয়ে রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরব্যাপী প্রদর্শনী
কলকাতা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore) এবং মহাত্মা গান্ধি (Mahatma Gandhi), এই দুই মহান ব্যক্তিত্বের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধার সম্পর্ক ছিল। আর সেই সম্পর্কের কথাই সাধারণের সামনে তুলে ধরে এক বছরব্যাপী প্রদর্শনীর (exhibition) আয়োজন করল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Rabindra Bharati University)। বৃহস্পতিবার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবি ঠাকুরের ৭৮ তম মৃত্যুবার্ষিকীতেই ওই প্রদর্শনীর সূচনা হওয়ার কথা জানানো হয়। জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে আয়োজন করা হয়েছে এই প্রদর্শনীর। যেখানে আর্কাইভ ফটোগুলি প্রদর্শন ছাড়াও "ভারতের ওই দুই মহান আত্মার" মধ্যে আদান প্রদান করা চিঠিপত্রগুলিও সাধারণের দেখার জন্যে তুলে ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন আধিকারিক। 'স্মরণে বরণে গুরুদেব ও মহাত্মা' (গুরুদেব এবং মহাত্মাকে স্মরণ করিয়ে) নামের ওই প্রদর্শনীতে (exhibition) ১৯১৫ সালের ৬ মার্চ, ঠাকুরের ''বাপু''-র সঙ্গে দেখা হওয়ার একটি বিরল চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে বলে সংবাদসংস্থাকে জানালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কিউরেটর বৈশাখী মিত্র ।
রবীন্দ্র-সৃষ্টির ডিজিটাল সংকলন প্রকাশ্যে
"আমরা রবি ঠাকুরের মৃত্যুবার্ষিকী এবং গান্ধিজির দেড়শতম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই প্রদর্শনীটির (exhibition) আয়োজন করেছি। ন্যাশনাল গান্ধি মিউজিয়ামের পরিচালক এ আন্নামালাই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের দুই মহান ব্যক্তির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ভাষণ দেবেন" বলেন তিনি । জাতীয় ছুটির দিন ব্যতীত সমস্ত দিন উন্মুক্ত এই প্রদর্শনীটি বর্তমান প্রজন্মকে রবি ঠাকুর (Rabindranath Tagore) ও গান্ধিজির (Mahatma Gandhi) মধ্যকার সম্পর্কের বিষয়ে জানানোর জন্যেই আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায় চৌধুরী।
তিনি আরও জানান যে, ১৯১৫ থেকে ১৯৪১ সাল পর্যন্ত ওই দুই ব্যক্তিত্বের মধ্যে চিঠিপত্র ও টেলিগ্রাম- সংক্রান্ত ছবি এবং চিঠিপত্রের ২২ টি প্যানেল থাকবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৭ অগাস্ট, ১৯৪১ সালে প্রয়াত হন। এই প্রদর্শনীর ছবিগুলি বিশ্ববিদ্যালয়ের (Rabindra Bharati University) আর্কাইভ এবং ন্যাশনাল গান্ধি মিউজিয়ামের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে।
পোস্টকার্ডে লিখে জানান কী বদলাতে চান সমাজে: ডান্ডি অভিযানের বার্ষিকীতে অভিনব পন্থা
"১৯৪১ সালের মে মাসে দু'জনের মধ্যে আদানপ্রদান করা শেষ চিঠিপত্রও স্থান পেয়েছে এখানে- গান্ধিজির '' পঁচিশে বৈশাখ''-এর টেলিগ্রাম (ঠাকুরের জন্মদিনের সাথে সম্পর্কিত বাংলা ক্যালেন্ডারের তারিখ) যেমন আছে তেমনই কবির মজাদার জবাব সম্বলিত চিঠিটিও রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের (Rabindra Bharati University) কিউরেটর বৈশাখী মিত্র বলেন, "গান্ধিজি ১৯০১ সালে জোড়াসাঁকোতে ঠাকুরের পৈতৃক বাড়িতে আসেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাবা) সঙ্গে দেখা করার জন্যে, সেই সময়েই কবির সঙ্গে বাপুর প্রথম দেখা হয়। সেই বিরল ছবিও জায়গা পেয়েছে এই প্রদর্শনীতে, যেখানে রয়েছেন শিবনাথ শাস্ত্রীও।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে সঙ্গীতশিল্পীরা রবি ঠাকুরের (Rabindranath Tagore) রচনাগুলি থেকে বাপুর প্রিয় গান 'একলা চলো রে , জীবন যখন শুকিয়ে যায়, 'আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে'র মতো গান পরিবেশন করবেন। '' আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে'' গান্ধিজির গুজরাটের সবরমতী আশ্রমের অন্যতম প্রার্থনা সঙ্গীত ছিল বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের (Rabindra Bharati University) সংগ্রহশালার সংগ্রাহক।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)