সঙ্কটাপন্ন ইয়েস ব্যাঙ্কের (Yes Bank) প্রতিষ্ঠাতা রানা কাপুরকে (Rana Kapoor) গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি (ED)। ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারির অভিযোগে গত দু'দিন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর অবশেষে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় সংস্থা। বিপুল অনাদায়ী ঋণের ভারে জর্জরিত ইয়েস ব্যাঙ্ক। ৩ এপ্রিল পর্যন্ত এই ব্যাঙ্কের প্রতিটি গ্রাহক মাসে সর্বোচ্চ ৫০,০০০ টাকা তুলতে পারবেন বলে নির্দিষ্ট করে দিয়েছে আরবিআই। শনিবার রানা কাপুরকে মুম্বইয়ে ইডির দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। তার আগে মুম্বইয়ের সমুদ্র মহল রেসিডেন্সিয়াল টাওয়ারে তল্লাশি চালায় ইডি। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের করে।
শনিবার গভীর রাতের টুইটে ইয়েস ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, এবার তাদের গ্রাহকরা এটিএম থেকে টাকা তুলতে পারবেন। টুইটে জানানো হয়, ‘‘এবার আপনারা আপনাদের ইয়েস ব্যাঙ্কে ইয়েস ব্যাঙ্ক ডেবিট কার্ড বা অন্য ব্যাঙ্কের এটিএম ব্যবহার করে টাকা তুলতে পারবেন। আপনাদের ধৈর্যের জন্য ধন্যবাদ।''
ইয়েস ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা বড় সমস্যায় পড়েছেন এটিএম থেকে টাকা তুলতে না পেরে। ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিংয়েও সমস্যা হচ্ছে।
হোলির মতো বড় উৎসবের আগে ঋণ মেটাতে বা বেতন দিতে ইয়েস ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট ব্যবহারে সমস্যা হওয়ায় আতান্তরে পড়তে হয়েছে গ্রাহকদের।
রানা কাপুরের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার সঙ্গে যোগ রয়েছে দেওয়ান হাউসিং ফিনান্স কর্পোরেশন কেলেঙ্কারির। ওই সংস্থাকে ঋণ দেওয়া হয়েছিল ব্যাঙ্কের তরফে, যা শোধ করা হয়নি বলে বিনিয়োগকারীরা জানিয়েছেন। এক ব্যক্তিকে ৬০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছিল ডিএইচএফএল-এর তরফে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ওই ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতার ভূমিকা খতিয়ে দেখছে ইডি। সংবাদ সংস্থা পিটিআই অনুসারে, রানা কাপুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি কিছু সংস্থাকে ঋণ পাইয়ে দিয়ে উৎকোচ পেয়ে তা স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে রেখে দেন।
ইয়েস ব্যাঙ্কের আর্থিক অবস্থার শোচনীয় পরিস্থিতি দেখে আসরে নেমেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান রজনীশ কুমার শনিবার জানান, ইয়েস ব্যাঙ্কের পুনর্গঠন পরিকল্পনায় আরবিআইয়ের পাশে থেকে ওই ব্যাঙ্কের ৪৯ শতাংশ শেয়ার কিনে নিতে চান তাঁরা। এই বিষয়ে এসবিআই আগামী সোমবারের মধ্যে আরবিআইয়ের কাছে আবেদন করবে।
(তথ্যসূত্র: পিটিআই)