শুক্রবার NDTV-র সঙ্গে কথা বলেন বাবা রামদেব।
হাইলাইটস
- শাহিনবাগে যাচ্ছেন বলে জানালেন যোগগুরু বাবা রামদেব
- তিনি বলেন, ‘‘আমরা সবাই ভারতীয়’’
- সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ভীত না হওয়ার আবেদন জানান তিনি
নয়াদিল্লি: শনিবার শাহিনবাগে যাচ্ছেন যোগগুরু বাবা রামদেব। শুক্রবার একথা জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে শাহিনবাগে চলছে প্রতিবাদ। NDTV-কে রামদেব বলেন, তিনি চান না হিন্দু ও মুসলিমের মধ্যে কোনও সংঘাত হোক। তিনি আরও জানান, তিনি শাহিনবাগে যাচ্ছেন কেবলমাত্র শুনতে। যদি মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি কোনও অন্যায় হয়ে থাকে, তাহলে তাঁর সেখানে যাওয়া তাঁদের প্রতি সমর্থন প্রকাশের একটি সংকেত হতে পারে। এর আগে তিনি বলেন, তিনি মানুষের প্রতিবাদের অধিকারকে স্বীকৃতি দেন। কিন্তু সেই প্রতিবাদ সাংবিধানিক হতে পারে। তিনি আরও বলেন, এর থেকে বোঝা যায় দেশে অরাজকতা চলছে।
বাবা রামদেব বলেন, ‘‘আমি কারও পক্ষে বা বিপক্ষে নই। আমি কোনও মধ্যস্থতাকারীও নই। আমি চাই না হিন্দু ও মুসলিম মারামারি করুক। যদি মুসলিমদের প্রতি কোনও অন্যায় হয়ে থাকে, আমি তাদের পাশে দাঁড়াব। আমি কাল শাহিনবাগে যাব।''
CAA লাগুর পর থেকে এ দেশ থেকে বাংলাদেশে ফিরছে বহু অনুপ্রবেশকারী: বিএসএফ
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি প্রতিবাদকে সমর্থন করি... যে কোনও ধরনের ‘আজাদি'রও... কিন্তু তা হওয়া উচিত সাংবিধানিক। এতে অবশ্যই যেন অন্য কাউকে আঘাত না দেয়। আমি ‘জিন্নাওয়ালি আজাদি' চাই না। আমি চাই ‘ভগৎ সিং-ওয়ালি আজাদি'।''
সকলকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ভীত না হওয়ার আর্জি জানান রামদেব। তিনি বলেন, ‘‘আমরা সবাই ভারতীয়।'' সকলকে আশ্বস্ত করে রামদেব বলেন, ‘‘এটা একটা মিথ যে সকলকে ছুঁড়ে ফেলা হবে।''
অতিরিক্ত কর চাপানো সরকারের সামাজিক অন্যায়: প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে
তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, বিশেষ করে মুসলিমদের অনেকের কাছেই হয়তো প্রয়োজনীয় কাগজ নেই, যার দ্বারা প্রমাণ করা যায় তাদের পূর্বপূরুষরা এদেশের নাগরিক। এপ্রসঙ্গে রামদেব বলেন, তিনিও একটি ছোট গ্রামে জন্মেছিলেন। এবং সম্ভবত তাঁর কাছেও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে ঘিরে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে দেশজুড়ে। এর মধ্যে অন্যতম শাহিনবাগ। শাহিনবাগের প্রতিবাদ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে অন্যত্রও এই ধরনের প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। সম্প্রতি লখনউয়েও এই ধরনের প্রতিবাদের কথা জানা গিয়েছে।
এই আইনে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আগত ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, ফার্সি, জৈন ও বৌদ্ধ শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদানের কথা বলা হয়েছে। আইন অনুযায়ী, এই সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের বেআইনি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে দেখা হবে না। তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। সমালোচকদের মতে, এই আইন মুসলিমদের জন্য বৈষম্যমূলক। এবং এটি সংবিধানের বর্ণিত দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির পরিপন্থী।