উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জন্মদিন।
হাইলাইটস
- আজ জন্মদিন ইউপি'র মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের
- ৪৯ বছরে পা দিলেন তিনি। ২২ বছরে সংসার ধর্ম ছেড়ে সন্ন্যাসী হয়েছিলেন তিনি
- ১০ পয়েন্টে দেখুন সেই কাহিনী
নয়া দিল্লি:
হিন্দুত্ব রাজনীতির অন্যতম পোস্টার বয় যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। রাজনৈতিক মহলের এমনটাই দাবি। কেন্দ্রে ক্ষমতার অলিন্দে থাকা মোদি-শাহ জুটির গুডবুকে একদন প্রথম দিকে নাম আছে আদিত্যনাথের। এমনটাই বিজেপি সূত্রে খবর। মাত্র ২২ বছর বয়সে সন্ন্যাস নিয়ে অজয় সিং বিস্ট (Ajay Singh Bisht) থেকে যোগী আদিত্যনাথ হয়েছেন তিনি। ১৯৯৮ সাল থেকে টানা পাঁচবার গোরক্ষপুরের সাংসদ ছিলেন আদিত্যনাথ। উত্তর প্রদেশে (UP) সংগঠন বৃদ্ধির দায়িত্ব কিছুটা হলেও তাঁর ওপর বর্তিয়েছিল। রাজনীতিবিদদের দাবি, "যেহেতু দিল্লির মসনদ কিছুটা ঠিক করে উত্তর প্রদেশ। তাই মুখ্যমন্ত্রী (UP CM) যোগী আদিত্যনাথ পরবর্তী সময়ে দলের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির উত্তরসুরি হিসেবে উঠে আসতে পারেন।"
সাংসদ থেকে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ১০ পয়েন্টে তাঁর কিছু অজানা তথ্য
১৯৭২ সালের ৫ জুন জন্ম। পৌরি জেলার পঞ্চুর গ্রামে প্রাথমিক শিক্ষার পাঠ। এরপর গাড়োয়াল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে স্নাতক। কলেজ পড়ুয়া হিসেবে এবিভিপি সংগঠনের সদস্য হয়েছিলেন।
১৯৯৩ সালে গণিতে স্নাতকোত্তর করার সময় যোগী আদিত্যনাথ গুরু গোরক্ষনাথের ওপর গবেষণার ভাবনাচিন্তা করেন। চলে আসেন গোরক্ষপুর। সেই মঠের গুরু অদ্বৈত্যনাথের শরণে আসেন আদিত্যনাথ। তরুণ আদিত্যনাথের জ্ঞান, শ্রদ্ধা ও ভক্তি বেশ অনুপ্রাণিত করে অদ্বৈত্যনাথকে। মঠের উত্তরাধিকার ঘোষণা করা হয় যোগীকে।
এরপর ১৯৯৪ সালে সংসার ধর্ম ত্যাগ করে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন তিনি। অজয় সিং বিস্ট নাম বদলে যোগী আদিত্যনাথ হয়েছেন।
এরপর ১৯৯৮ সালে বিজেপির টিকিটে গোরক্ষপুরের আসনে প্রথমবার সাংসদ নির্বাচিত হন। পরের বার অর্থাৎ ১৯৯৯ সালে আরও বেশি ভোটে জয়লাভ করেন। সেই থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত টানা ৩ বার ওই আসনের সাংসদ ছিলেন আদিত্যনাথ।
এদিকে ১৯৯৯ সালে দ্বিতীয়বার সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তাঁর ওপর উত্তরপ্রদেশে সংগঠন দেখভালের দায়িত্ব বাড়ে। ধীরে ধীরে কট্টর হিন্দুত্ব নীতি নিয়ে প্রচার শুরু করেন তিনি। ২০০২ সালে হিন্দু যুব বাহিনী গঠন করেন আদিত্যনাথ।
তৃতীয়বার ২০০৪ সালে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন আদিত্যনাথ। এর ৩ বছর পর গোরক্ষপুরে গোষ্ঠী সংঘর্ষ হয়েছিল। সেই সংঘর্ষে অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার হয়েছিলেন আদিত্যনাথ। তাঁর গ্রেফতারি ঘিরে ব্যাপক চর্চা হয়েছিল দেশে।
২০০৮ সালে আজমগড়ে তাঁর ওপর প্রাণঘাতী হামলা চালানো হয়েছিল। কোনওভাবে প্রানে বাঁচেন তিনি। এই হামলার প্রতিবাদে হিন্দু যুব বাহিনী গোটা উত্তর প্রদেশে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিল।
তারপরের বছর লোকসভা নির্বাচনে প্রায় ২ লক্ষের বেশি ভোটে জয় পেয়েছিলেন আদিত্যানাথ। ২০১৪ সালের নির্বাচনেও তাঁর মার্জিন ছিল দু'লক্ষের কিছু বেশি।
এরপর ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে হঠাৎ করে সামনের সারিতে চলে আসেন আদিত্যনাথ।
তাঁর নেতৃত্ব বিধানসভার কয়েকটি উপনির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থীরা। কিন্তু ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে প্রায় বিরোধী শূন্য হয়ে পড়ে উত্তরপ্রদেশ। বিজেপি সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পর দলের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে উঠে আসতে পারেন আদিত্যনাথ।
Post a comment