Doctor strike: আজ এনআরএস মেডিক্যাল ও হাসপাতালে যান অপর্ণা। সেখানে গিয়ে ওই মন্তব্য করেন
হাইলাইটস
- ‘‘আপনি আমাদের মায়ের মতো। ’’ মমতার উদ্দেশে বললেন অপর্ণা সেন।
- আজ এনআরএস মেডিক্যাল ও হাসপাতালে যান অপর্ণা। সেখানে গিয়ে ওই মন্তব্য করেন।
- কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষ বর্ধনও এব্যাপারে মমতার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
কলকাতা: বহু পুরস্কারবিজয়ী খ্যাতনামা পরিচালক ও অভিনেত্রী অপর্ণা সেন (Aparna Sen) আজ পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কাছে আবেদন করলেন তিনি যেন ধর্মঘটে সামিল জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior doctors) সঙ্গে কথা বলেন। সোমবার রাতে এনএআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যু হলে তাঁর আত্মীয়রা দু'জন চিকিৎসকের উপরে হামলা করে। সেই কারণেই রাজ্য জুড়ে আন্দোলনে নেমেছেন চিকিৎসকরা। আজ নিয়ে চতুর্থ দিনে পড়ল ধর্মঘট। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়ে অপর্ণা বলেন, ‘‘প্রিয় মুখ্যমন্ত্রী, আপনি আমাদের অভিভাবক। আপনি আমাদের মায়ের মতো। আপনি ওই তরুণ চিকিৎসকদের থেকে সিনিয়র। দয়া করে ওদের খেয়াল রাখুন।'' আজ এনআরএস মেডিক্যাল ও হাসপাতালে যান অপর্ণা। সেখানে গিয়ে ওই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘‘হ্যাঁ, রাজ্যের মন্ত্রীরা এখানে এসেছেন। কিন্তু আপনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী। দয়া করে আসুন ও কথা বলুন ওদের সঙ্গে।''
হাসপাতাল পরিদর্শনে গেলে আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা তাঁকে অবমাননা করেছেন, দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
অপর্ণার মন্তব্যের আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন আজ এই সমস্যা সামলাতে ব্যর্থ রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, ‘‘সংবেদনশীলতা দেখান ও দেশজুড়ে রোগীদের ভোগান্তির অবসান ঘটান।''
তিনি বলেন, ‘‘আক্রমণকারীদের (চিকিৎসকদের উপরে) বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার পরিবর্তে উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) চিকিৎসকদের হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, হুমকি দিচ্ছেন। যে কারণে কেবল পশ্চিমবঙ্গেরই নয়, দেশজুড়ো চিকিৎসকরা রেগে গিয়েছেন।''
রাজ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরিতে বিজেপি কর্মীদের উৎসাহ দিচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক: মমতা
তিনি আরও বলেন, ‘‘যদি একজন মুখ্যমন্ত্রী সংবেদনশীলতা দেখান ও আচরণের পরিবর্তন করেন, তাহলে দেশজুড়ে রোগীদের ভোগান্তির অবসান হবে।''
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী, যিনি স্বাস্থ্য দফতরেরও মুখ্য, তিনি এনআরস হাসপাতালে গিয়ে ধর্মঘটে বসা চিকিৎসকদের কাজে ফিরতে বলেন। হুমকি দেন কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার। তাঁদের ‘বহিরাগত' বলেও উল্লেখ করেন তিনি। জানিয়ে দেন, ‘‘সরকার ওঁদের কোনওভাবেই সমর্থন করবে না।''
মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া ডেডলাইন দুপুর দু'টোয় কাজে ফেরার নির্দেশকে অস্বীকার করে চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতির আশ্বাস না পেলে তাঁরা ধর্মঘট চালিয়ে যাবেন।
গত তিন দিন ধরে বহু সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এমার্জেন্সি ওয়ার্ড, আউটডোর, প্যাথলজিক্যাল বিভাগের মতো পরিষেবা ব্যাহত রয়েছে। রাজ্যের বিরাট সংখ্যক ব্যক্তিগত চিকিৎসা পরিষেবাও বন্ধ। সব মিলিয়ে রোগীরা অত্যন্ত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসকদের কর্মবিরতি ও প্রতিবাদকে সমর্থন জানিয়ে নয়াদিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, জয়পুর, তিরুবনন্তপুরম ও অন্যান্য শহরের চিকিৎসকরা একদিনের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন। নয়াদিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (AIIMS)-এর চিকিৎসক দেখা গিয়েছে হেলমেট ও ব্যান্ডেজ পরিহিত অবস্থায় রোগী দেখতে আসতে।