প্রভুর সঙ্গে যে সব পোষ্য সারমেয়র সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর হয় সে ক্ষেত্রে তারা প্রভুর মন খারাপ কি না তা দরজা খোলা বা বন্ধ যাই থাকুক সহজেই বুঝে নিতে পারে।
আপনার মনের অবস্থা ঠিক কী, সে হদিশ কিন্তু রয়েছে আপনার পোষ্য সারমেয়র কাছে। তাই প্রভুর মন কোনও কারণে খারাপ হলে পোষ্যে কিন্তু প্রভুর মন ভাল করার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেয়।
একটা গবেষণায় জানা গেছে প্রভুর সঙ্গে যে সব পোষ্য সারমেয়র সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর হয় সে ক্ষেত্রে তারা প্রভুর মন খারাপ কি না তা দরজা খোলা বা বন্ধ যাই থাকুক সহজেই বুঝে নিতে পারে।
কুকুররা শুধুমাত্র প্রভুর মন খারাপ বুঝতেই পারে তা নয়, কীভাবে মন ভাল করতে হবে সে উপায়ও তাদের জানা থাকে- জানিয়েছেন গবেষণা দলের প্রধান সদস্য এমিলি স্যানফোর্ড।
আমরা বহুদিন ধরেই জানি, প্রভুরা বাড়ি ফিরে কাঁদলে পোষ্য সারমেয় প্রভুর মুখ চেটে তাকে শান্ত করার চেষ্টা করে- তবে এর পিছনে বৈজ্ঞানিক ব্যখ্যা রয়েছে- জানা গেল গবেষণায়।
গবেষণায় বিভিন্ন প্রজাতির 34 টা কুকুর এবং তাদের প্রভুদের নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। গোল্ডেন রেট্রিভার, ল্যাবরাডর, শি জাস, পাগ এবং অন্যান্য মিশ্র প্রজাতির কুকুর নিয়ে এই গবেষণা করা হয়।
প্রতিবার ঘরের দরজা বন্ধ করে মালিকদের এমনভাবে ‘টুইঙ্কেল টুইঙ্কেল লিটিল স্টার’ গান করতে কিংবা কাঁদতে বলা হয় যাতে তাদের পোষ্য বাইরে থেকে শুনতে পায়।
গবেষকরা দেখতে চেয়েছিলেন প্রভুকে কাঁদতে দেখলে পোষ্যের কী প্রতিক্রিয়া হয়।
পরীক্ষা চলাকালীন কুকুরদের স্ট্রেস লেভেল মেপে দেখা হয়। দেখা যায় মালিকদের উদ্ধার করার সময় কুকুরদের স্ট্রেস লেভেল কম, কারণ কান্নায় তাদেরও মন খারাপ হয়ে গেছে কিন্তু এতটাও খারাপ হয়নি যে তারা মালিককে উদ্ধার করবে না।
সম্পূর্ণ গবেষণা নিবন্ধটি লারনিং অ্যান্ড বিহেভিয়ার নামক জার্নালে উপলব্ধ।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)Click for more
trending news