Jaish-e-Mohammed: পুলওয়ামা হামলার ভিডিও বানিয়ে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনাও করছিলো তাঁরা
নয়া দিল্লি: গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় (Pulwama) ভারতের আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানদের টহলদারী গাড়ি লক্ষ্য করে যে আত্মঘাতী হামলা হয় তারই (Pulwama Attack) একটি ভিডিও করে জঙ্গি মনোভাবাপন্ন মানুষজনের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ফেঁদেছিলো হামলার সঙ্গে জড়িত জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিগোষ্ঠী। ভবিষ্যতে যাতে একইধরণের হামলা চালানো যায় তারও ছক কষছিলো তাঁরা (Jaish-e-Mohammed)। কিন্তু ভারতীয় বায়ুসেনা বালাকোটে জয়েশের গোপন ঘাঁটির উপর বোমা ফেলে সেগুলো ধ্বংস করে দেওয়ার ফলে তাঁদের সেই পরিকল্পনা বানচাল হয়ে যায়। গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, পুলওয়ামা হামলার আত্মঘাতী জঙ্গি আদিল দারকে কাশ্মীরি ভাষায় শহিদ বলে প্রচারও করছিলো তাঁরা। তথ্য অনুযায়ী, ২১ বছর বয়সী আদিল দার ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পুলওয়ামায় তাঁর নিজের গ্রাম থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। আদিলের বাবা ছেলের খোঁজে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
"বুরহান ওয়ানির মতো আদিলও তরতাজা এক তরুণ ছিলেন এবং ২০১৬ সালে পুলিশি এনকাউন্টারে খতম হওয়া বুরহানের মৃত্যুর প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নিয়েছিলো। জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) চার্জশিটে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, জঙ্গি দলে যোগ দেওয়ার জন্য আরও তরুণদের উৎসাহিত করতে পুলওয়ামা হামলার মাস্টারমাইন্ড মহম্মদ ওমর ফারুক ভারতীয় সেনাদের মৃতদেহের ভিডিও বানিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরে যুবকদের দেখানোর পরিকল্পনা করেছিলো।
একজন গোয়েন্দা কর্তা বলেন, "ভারতীয় যুদ্ধবিমান পাকিস্তানের বালাকোটে বোমা ফেলে জয়েশ শিবির গুঁড়িয়ে দেওয়ার ফলে এই পরিকল্পনাটি কার্যকর করা যায়নি।" তবে একথাও ঠিক, তলে তলে জঙ্গিগোষ্ঠীর বিস্তার করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে জয়েশ।
সেই সঙ্গে, সূত্রের খবর, গত ১৮ মাসে দক্ষিণ কাশ্মীরের বিভিন্ন অঞ্চলে জয়েশ জঙ্গিগোষ্ঠী তার প্রভাব বৃদ্ধি করেছে এবং মনে করা হচ্ছে এই কারণেই সেখান থেকে বহু তরুণ বেপাত্তা হয়ে গেছে। “পরিসংখ্যান বলছে যে জয়েশ গত তিন বছর ধরে ধীরে ধীরে তার জঙ্গিগোষ্ঠীকে আরও শক্তিশালী করে চলেছে। আমাদের কাছে এই তথ্যও আছে যে ২০১৮ সালের পর থেকে নিখোঁজ হওয়া ৮০ জনেরও বেশি যুবক জয়েশে যোগ দিয়েছে। এও জানতে পেরেছি যে, তাঁদের মধ্যে ৪৩ জন আবার পুলওয়ামা হামলার পর ওই জঙ্গিগোষ্ঠীতে সামিল হয়েছে“, বলেন এক গোয়েন্দা কর্তা।