২০১৮ সালের জুন থেকে এযাবৎ ২০০ ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি!
পেটভরে খাবার খাওয়ার জন্য অর্থপ্রাপ্তি! শুনলেই মনে হবে, এ যেন স্বপ্নের চাকরি। ঠিক এমন চাকরিই (Gets Paid To Eat Online) করেন ফ্যাবিও ম্যাটিসন। তবে এটা কেবল চাকরিমাত্র নয়— এটা একটা ইন্টারনেট ট্রেন্ড নিজের দশকওয়ারি আহার ব্যাধিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। ২০১০ সালে কোরিয়ার মুকব্যাং জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন ইউটিউবে (YouTuber) খাবার খেয়ে। সেই থেকে এই ট্রেন্ড শুরু হয়। এটাই অনুসরণ করেছেন ফ্যাবিও। এই ‘মুকব্যাং ক্রেজ' হল এমন এক বিষয়, যেখানে ইউটিউবার নিজের খাওয়ার ভিডিও পোস্ট করেন। ‘ডেইলি মেল' অনুযায়ী, ২০১৮ সালে ফ্যাবিও তাঁর প্রথম ভিডিও পোস্ট করেন।
ছেলের পাশে শুয়ে অশরীরী আত্মা! ভয়ে-আতঙ্কে মা কী করলেন?
বহু বছর ধরেই তাঁর মধ্যে সমস্যা ছিল, তিনি অন্যের সামনে খাবার খেতে পারতেন না। কিন্তু এই ভিডিও পোস্ট করে সকলের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করার ফলে তাঁর সমস্যা দূরীভূত হয়।
Viral: একটি সাপকে কামড়াচ্ছে অন্য সাপ, হঠাৎ হামলা আরেক আক্রমণকারীর দেখুন ভয়ানক ভিডিও
‘ডেইলি মেল'-কে তিনি জানাচ্ছেন, ‘‘হাজার হাজার মানুষ আমাকে অনলাইনে খেতে দেখছেন। এর ফলে আমি আবার খাওয়া ব্যাপারটা উপভোগ করতে শুরু করি। আমি ১৯ বছর থেকেই খাওয়া নিয়ে সমস্যায় ভুগছিলাম। আমার ভয় হত খেলে ওজন বেড়ে যাবে। এবং অন্যের সামনে খেলে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতাম।''
ফ্যাবিও জানাচ্ছেন, পরিস্থিতি এমন জায়গায় চলে গিয়েছিল, তিনি ঘরের মধ্যেই স্টোভে রান্না করে খেয়ে নিতেন। রান্নাঘরেও যেতেন না। কিন্তু মুকব্যাং-এর ভিডিও দেখে তাঁর উপলব্ধি হয়, খাওয়া ব্যাপারটা খুব খারাপ নয়।
৮,০০০-এরও বেশি সাবস্ক্রাইবার রয়েছে তাঁর। এখন তিনি নিজের আহারের ভিডিও আপলোড করে রোজগার করেন। একে তিনি ‘‘হোম থেরাপি'' বলেন। ২০১৮ সালের জুন থেকে এযাবৎ ২০০ ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি! সেই সব ভিডিওয় ধরা রয়েছে তাঁর খাদ্যগ্রহণের বৈচিত্রময় সব মুহূর্ত। বার্গার থেকে চকোলেট কেক, কিংবা নিছকই চিপস— হাজার হাজার ‘ভিউ' পেয়েছে তাঁর ভিডিওগুলি।
ফ্যাবিও জানাচ্ছেন, ‘‘আমি অনেক মানুষকে দেখেছি যাঁরা উদ্বেগে ভুগছেন, তাঁরা আমাকে মেসেজ করেন। তাঁরা জানিয়েছেন আমার ভিডিও দেখে তাঁদের উদ্বেগ কমেছে। এইসব কথা আমার আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে।''
Click for more
trending news