জাকির নায়কের নাম এখন সকলেই জানে। পিস টিভি নাম একটি চ্যানেলে বসে ইসলাম ধর্ম সংক্রান্ত উপদেশ দিতেন জাকির
হাইলাইটস
- বিতর্কিত ধর্মপ্রচারক জাকিরকে ভারতে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
- ভারত সরকার জানায় দাবি বিবেচনা করে দেখছে মালয়েশিয়া।
- মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানালেন গোলমাল না করা পর্যন্ত তাঁকে অন্য্ দেশে প
Putrajaya, Malaysia: বিতর্কিত ধর্ম প্রচারক জাকির নায়েককে ভারতে ফেরত পাঠাচ্ছে না মালয়েশিয়া সরকার। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী মাহাতির মহম্মদ শুক্রবার এই খবর জানিয়েছেন। এই ধর্ম প্রচারককে নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়েছিল ভারতীয় তদন্ত সংস্থা গুলি। কিন্ত মালয়েশিয়া তাঁকে আপাতত ছাড়ছে না।
মাত্র একদিন আগে ভারতের তরফে জানানো হয় জাকিরকে এদেশে নিয়ে আসার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অনুরোধ করা হয়েছে সেদেশের সরকারকে। এরপরই মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রকাশ্যে এলো।তিনি বললেন, ' তাঁকে ( জাকির) এদেশে পাকাপাকি ভাবে থাকার অধিকার দেওয়া হয়েছে তাই যতদিন না তিনি এখানে কোনও গোলমাল করছেন ততদিন অন্যত্র পাঠানোর ভাবনা আমাদের নেই। '
জাকির নায়কের নাম এখন সকলেই জানে। পিস টিভি নাম একটি চ্যানেলে বসে ইসলাম ধর্ম সংক্রান্ত উপদেশ দিতেন জাকির। অনেকেরই ধারনা -বেশ কিছু ক্ষেত্রে ধর্মীয় নিয়ম কানুনের অপব্যাখ্যা করেতন তিনি। বছর দুয়েক আগে তাঁর বিরুদ্ধে এ ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্য পেশ করার দাবি আরও জোরালো ভাবে ওঠে। সূত্র মারফৎ দাবি উঠতে থাকে ঢাকার ক্যাফেতে হামলার ঘটনায় অভিযুক্তরা এই জাকিরের কথা শুনেই উৎসাহিত হয়েছিল। এমন তথ্য হাতে আসায় বাংলাদেশে তাঁর চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয় ।
ব্যবস্থা নেওয়ার পথে হাঁটে ভারত সরকারও। আর তাই দেশ ছেড়ে মালয়েশিয়ার পুত্ররাজ্যতে আশ্রয় নেন জাকির। এখন সেখানেই আছেন। এই ধর্মপ্রচারককে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হতে থাকে। মাত্র কয়েকদিন আগে বিদেশমন্ত্রক নতুন করে মালয়েশিয়া সরকারের কাছে এই দাবি পেশ করে। কিন্ত তা খারিজ হয়ে গেল।
শুধু ঢাকা বিস্ফোরণের সঙ্গে নাম জড়ানোই নয় , তার আগেও একাধিক ব্যাপারে অভিযুক্ত জাকির। তাঁর আচরণকে ' সন্দেহজনক' আখ্যা দিয়ে 2010 সালে তাঁকে ইংল্যান্ডে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। তারও বছর দুয়েক আগে নিজের অনুষ্ঠানে জাকির নায়েক দাবি করেন, 2001 সালে আমেরিকার হামলার সঙ্গে আলকায়দার কোনও যোগ ছিল না। অন্য একটি অনুষ্ঠানে তিনি প্রকাশ্যে লাদেনকে সমর্থন করার কথা জানান। ইউটিউবের সৌজন্যে অনেকেই দেখেছেন সেই ভিডিও।