This Article is From Jun 28, 2020

জ্যোমাটোয় আলিবাবার বিনিয়োগ! চিন-বিরোধিতায় সংস্থার টি-শার্ট পোড়ালেন কর্মীরা

২০১৮ সালে ২১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এই সংস্থায় বিনিয়োগ করেছিল আলিবাবা। কিনেছিল প্রায় ১৪.৭% শেয়ার

জ্যোমাটোয় আলিবাবার বিনিয়োগ! চিন-বিরোধিতায় সংস্থার টি-শার্ট পোড়ালেন কর্মীরা

জ্যোমাটোর তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। (ফাইল ছবি)

কলকাতা:

পূর্ব লাদাখে শহিদ ২০ জন ভারতীয় সেনা (Eas Ladakh standoff)। তাঁদের আত্মত্যাগের পাশে দাঁড়াতে ও চিনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কলকাতায় প্রতিবাদ দেখালেন জ্যোমাটোর কর্মীরা। বেহালা অবস্থিত এই সংস্থার (Staffers of Zomato) একদল কর্মী নিজেদের টি-শার্ট ছিঁড়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন। প্রতিবাদসভা থেকে কয়েকজন দাবি করেছেন, "জ্যোমাটোতে সদ্য চিনা বিনিয়োগ হয়েছে (Zomato Chinese investment)। সেই প্রতিবাদে আমরা চাকরি থেকে ইস্তফাও দিয়েছি। আপনারাও সংস্থা থেকে খাবার নেওয়া বন্ধ করুন।" ২০১৮ সালে ২১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এই সংস্থায় বিনিয়োগ করেছিল আলিবাবা। কিনেছিল প্রায় ১৪.৭% শেয়ার। সম্প্রতি আরও ১৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হয়েছে এই সংস্থায়।"

তাঁদের দাবি, "আমাদের থেকে লাভ করে, আমাদের জওয়ানদের মারছে চিন। আমাদের ভূখণ্ড ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এরকম চলতে পারে না।" আরও এক প্রতিবাদীর দাবি, "আমরা না খেয়ে মরব, কিন্তু চিনা বিনিয়োগ আছে এমন সংস্থায় কাজ করবো না।"

সম্প্রতি আর্থিক মন্দার হাত থেকে বাঁচতে একটা শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হেঁটেছে জ্যোমাটো। তার মধ্যে এই প্রতিবাদে খানিকটা অস্বস্তিতে সংস্থার কর্তারা।

এদিকে, পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় যদি এখনও চিন কোনও অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করে তবে তার যোগ্য জবাব দেওয়া হবে, রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে জানিয়েছে ভারত। শুধু তাই নয়, ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও এর প্রভাব পড়বে বলেও প্রতিবেশী দেশটিকে সতর্ক করা হয়েছে। ভারতের দাবি, পূর্ব লাদাখে চিনা সেনার দাপাদাপি বন্ধ করুক বেজিং। চিনে দায়িত্বরত ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম মিশ্রি  সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় যে সমস্যা তৈরি হয়েছে তা আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার একমাত্র রাস্তা হ'ল চিনের তরফ থেকে সেখানে নতুন নির্মাণ বন্ধ করা। তিনি বলেন, "গালওয়ান উপত্যকার উপর চিনের সার্বভৌমত্বের দাবি মোটেই যুক্তিযুক্ত নয়"। চিনের এই ধরনের অতিরঞ্জিত দাবিগুলি যে কোনও কাজে আসবে না, সেকথাও মনে করিয়ে দেন তিনি। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে দু'দেশের মধ্যে এই চাপানউতোর শুধু যে ওই এলাকায় উত্তেজনা তৈরি করবে তাই নয়, চিনের এই কার্যকলাপ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলবে এবং পাল্টা প্রতিক্রিয়াও সৃষ্টি করবে।

.