This Article is From Jul 31, 2019

খাবার পৌঁছে দেবেন মুসলিম ব্যক্তি, তাই বাতিল অর্ডার! পালটা জবাবে মন জিতল জোমাটো!

জোমাটো আজ সকালেই পালটা প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, “খাবারের কোনও ধর্ম নেই, খাবার নিজেই একটা ধর্ম।”

মঙ্গলবার রাতে অনলাইন ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম জোমাটোতে খাবার অর্ডার করে বাতিল করতে চান এই ব্যক্তি

নিউ দিল্লি:

খিদে পেলে মাথা কাজ করে না অনেকেরই! খালি পেটের জ্বালায় উড়ে যায় যাবতীয় বাছবিচার, তবে সকলের তো ওড়ে না। অনেকেরই ভুখা পেটের আগে খড়্গহস্ত হয়ে দাঁড়ায় ধর্ম। যেমন, অমিত। মধ্যপ্রদেশের অমিত, ধর্মের খাতায় যার নাম হিন্দু তালিকায়। মঙ্গলবার রাতে অনলাইন ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম জোমাটোতে (food delivery platform Zomato) খাবার অর্ডার করেও ভীষণই অসন্তুষ্ট তিনি। কারণ? একজন মুসলিম আসছেন তাঁকে খাবার পৌঁছে দিতে! এ কেমন অনাচার? মোটেও ধর্মে সইছে না। খাবারের অর্ডার বাতিল করে দিতে চেয়ে জোমাটোর গ্রাহক পরিসেবায় (Zomato's customer care) মেসেজও করেন অমিত। তাঁর দাবি, ওই মুসলিম ব্যক্তির পৌঁছে দেওয়া খাবার মুখে তুলবেন না তাঁরা, বদলে দিতে হবে ডেলিভারি পার্সনকে। খালি পেটের উর্ধ্বে গিয়ে এমন গোঁড়ামির মুখে যে জবাব দিয়েছে জোমাটো সেই প্রতিক্রিয়া অবশ্য অগুনতি মানুষের মন জিতে নিয়েছে। 

'কখনও তো বাড়ির খাবার খাও'! বাড়ির রান্না খাওয়ার পরামর্শ কেন দিল জোমাটো?

একাধিক টুইটের মাধ্যমে মধ্যপ্রদেশের জবলপুরের বাসিন্দা অমিত শুক্লাও (Amit Shukla) জোমাটোর গ্রাহক পরিসেবার সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের স্ক্রিনশট শেয়ার করে বলেছেন, তিনি বিষয়টি তাঁর আইনজীবীদের কাছে নিয়ে যাবেন। অমিত শুক্লা টুইট করেছেন, “জোমাটোর (ZomatoIN) একটি অর্ডার বাতিল করলাম। তারা আমার খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি অ-হিন্দু রাইডারকে দায়িত্ব দিয়েছিল। ওরা জানিয়েছে যে তারা চালক পরিবর্তন করতে পারবে না এবং টাকাও ফেরত দিতে পারবে না।”

জোমাটো আজ সকালেই পালটা প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, “খাবারের কোনও ধর্ম নেই, খাবার নিজেই একটা ধর্ম।”

 প্রতিবন্ধকতাকে হারিয়ে খাবার পৌঁছে দেন এই ব্যক্তি; বিশেষ উপহার দিল জোমাটো কর্তৃপক্ষ

জোমাটোর প্রতিষ্ঠাতা দীপিন্দর গোয়েলও (Zomato founder Deepinder Goyal) তাঁর কোম্পানির বার্তা ও সিদ্ধান্ত বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। দীপিন্দর গোয়েল টুইট করেছেন, “ভারতের ধারণা বিষয়ে আমরা গর্বিত এবং একইভাবে আমাদের সম্মানীয় গ্রাহক ও অংশীদারদের বৈচিত্র্য নিয়েও আমরা গর্বিত। আমাদের মূল্যবোধের পথে বাধা দেয় এমন কোনও ব্যবসায় হারাতে হলে আমাদের দুঃখ নেই!”

গোঁড়ামি এবং ঘৃণার প্রতি প্রত্যাখ্যান জানাতে এমন পদক্ষেপ করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় জোমাটোর ভূমিকা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত। বাস্তবিকই, ভুখা পেটের কোনও ধর্ম কি কোনও দেশে আছে? প্রশ্ন করুন নিজেকেও।

.