প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পুনর্নিবার্চনের আগে বিজেপি জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৫-এর ধারা রদ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কাশ্মীর উপত্যকা এবং শ্রীনগরে শীর্ষ নেতাদের গৃহবন্দি রাখার ফলে প্রত্যাশা করা হয় যে, সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে ৩৫ এ ধারা বাতিলের ঘোষণা করবেন।
১. ১৯৫৪ সালে গৃহীত সংবিধানের ৩৫ এ অনুচ্ছেদে জম্মু ও কাশ্মীরের আইনসভাকে এই রাজ্যের বাসিন্দা কারা হবেন তা নির্ধারণ এবং তাদের বিশেষ অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়।
২. ১৯৫৪ সালে আইনটি অনুমোদিত হওয়ার পরে যারা এই অঞ্চলে বাস করতেন বা যারা তার পরে ধারাবাহিকভাবে ১০ বছর ধরে সে রাজ্যে বসবাস করেছেন এবং ওই রাজ্যে যাঁদের সম্পত্তি রয়েছে তাঁদের সে রাজ্যের বাসিন্দা হিসাবে অভিহিত করা হয়।
৩. ৩৫-এর এ ধারা অনুযায়ী বহিরাগতরা কখনোই এ রাজ্যে কোনো সম্পত্তির মালিক হতে পারবেন না যাতে ঐ অঞ্চলের জনসংখ্যার চিত্র উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তন না হয় তার জন্যেই ওই নিয়ম বলবৎ; এমনকি বহিরাগতরা রাজ্য সরকারি চাকরি বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বৃত্তি পেতে পারেন না। যে মহিলারা অনাবাসীকে বিয়ে করেন তাদের ২০০২ সালে দেওয়া আদালতের আদেশের পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত কোনও সম্পত্তির মালিকানার অধিকার ছিল না। যারা আবাসিক হিসাবে স্বীকৃত তাদের স্থায়ী বাসিন্দা হিসাবে একটি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।
৪. ৩৫ এ অনুচ্ছেদটি সংসদের পর্যালোচনা ছাড়াই রাষ্ট্রপতির আদেশের মাধ্যমে সংবিধানে যুক্ত করা হয়েছিল।যা পরে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়।
৫. বিজেপির দাবি অনুযায়ী এই আইনটি বৈষম্যমূলক; এর আগে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি কাশ্মীরের এই "উদীয়মান অর্থনীতি, অর্থনৈতিক তৎপরতা এবং চাকরি দিতে অস্বীকার করার বিষয়টির অভিযোগ তুলে এটিকে "সাংবিধানিকভাবে দুর্বল" হিসাবে বর্ণনা করেন।