১৯৮৪ সালে শিখ-গণহত্যা মামলায় কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল। দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি এস মুরলীধর এবং বিচারপতি বিনোদ গোয়েল রায় দেওয়ার আগে অমৃতা প্রীতমের লেখা এই কবিতাটি পড়ে শোনান। যে কবিতায় অত্যন্ত প্রাঞ্জলভাবে তুলে ধরা হয়েছে ১৯৪৭ সালের দেশভাগ পরবর্তী ভয়াবহতাকে। যে হাড়হিম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটিয়ে এসেছে ওই সময় সাধারণ মানুষ, হেরে যাওয়া মানুষ, তুলে ধরা হয়েছে সেইসবও। এক অল্পবয়সী কবি তাঁর দুই সন্তানকে নিয়ে লাহোর থেকে পালিয়ে এসেছিলেন। ওই পালিয়ে আসার সময়টা রাস্তার পাশে দেখেছিলেন লাখ লাখ অসহায় মানুষকে। বেশিরভাগই মৃত। তাদের মধ্যে শিখ, মুসলমান এবং হিন্দু- সব ধর্মের মানুষই ছিল। সেই বিষণ্ণ যাত্রাটিই আসলে একটি কবিতা লিখিয়ে নিয়েছিল ওই কবিকে দিয়ে।