সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে সুনয়না। তপশিলী জাতির একজন ভোটারের অবস্থা ঠিক কী? নিজে না ভোট দিলেও কী কী বিষয় প্রভাবিত করে একজন ভোটারকে তা স্পষ্ট এই বয়সেই বুঝে গিয়েছে সুনয়না। কর্মসংস্থান নেই কোথাও। মানুষ খাবে কী? যে ফসল উদবৃত্ত হত তাই আগে বিক্রি করত তাঁরা, কিন্তু রাজ্য তথা দেশে কৃষির অবস্থা যা তাতে কোনও কিছুই আর নিজেদের জন্য পাচ্ছেন না তাঁরা, জানিয়েছেন সুনয়না। তাঁর কথায়, “আমাদের গ্রামের সকলে যদি পশু হয়ে যেতাম তাহলে আলাদা বিষয় ছিল, অসুবিধা হত না। মানুষ তো, খাবটা কী?” সুনয়নার প্রশ্ন, “আগে কাজের অনেজ জায়গা ছিল। জমিতে কৃষক ফসল ফলিয়ে, বেচে বাড়ি বানাত। এখন কবে ধান লাগানোর মরশুম আসবে, তখন কাজ পাবো। এর মাঝে কী করব আমরা?” মাত্র সপ্তম শ্রেণিতে পড়া সুনয়না এই বয়সেই বুঝেছে, গ্রামের উন্নতির জন্য গ্রামের মানুষকেই লেগে পড়তে হবে। বাইরের মানুষ এখানে কেবলই শোষণ করতেই আসবেন। বড় হয়ে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখে আগামীর এই ভোটার। সুননয়া বলে, “ডাক্তার হলে গ্রামের রোগ কম হবে, আমি কারও থেকে টাকা নিয়ে রোগী দেখব না অন্য ডাক্তারদের মতো।”