এই যুগের মেয়েদের কর্মজীবন বাছার অধিকার রয়েছে বলে অনেকেই মনে করেন। পাইলট হয়ে ওঠা থেকে শুরু করে, মহাকাশচারী বা ডাক্তার। মেয়েরা নিজেদের পছন্দের কর্মজীবন বাছতে পারে এখন। গর্বিত বাবা মায়েরা সেই মেয়েকে নিয়ে ছবি তুলে পোস্ট দেন, বন্ধু আত্মীয়দের আড্ডায় মেয়ের কীর্তির কথা বুক ফুলিয়ে বলতে ভালোবাসেন। ‘আজকালকার মেয়ে’ বলে অনেকেই সময় ও সমাজের থেকে আসলে এগিয়ে থাকতেই চান। কিন্তু যখন ‘আজকালকার মেয়েরা’ই নিজেদের পছন্দমতো বিয়ে করতে চায় তখনই পরিবারের সম্মান নিয়ে তেড়ে আসেন সেই পরিবার পরিজন ও আত্মীয়রাই। সেই মেয়েকেই মেরে ফেলতেও পিছ পা হন না বাবা মা। ভিন জাতে বিয়ে করলেই বোঝা যায়, মেয়েকে নয়, আসলে নিজের জাতির পরিচয়কেই বেশি ভালোবেসেছিলেন বাবা মা। অন্য জাতিকে কেবল ঘৃণা করা আর নিজের জাতিকে সেরা বলে দাবি করে থাকা এই মানুষেরা অনেকেই নিজেদের রাষ্ট্রবাদী বলেও পরিচয় দেন, ভারতীয় বলেও পরিচয় দেন, আবার অন্যের প্রতি পাহাড় প্রমাণ ঘৃণাও পোষণ করেন।